
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘এবার পূজাকে বিঘ্ন করার জন্য পাহাড়ে একধরনের একটা ষড়যন্ত্র হয়েছে। কিন্তু তাদের এ ষড়যন্ত্র কার্যকর হয়নি।’
বুধবার (০১ অক্টোবর) বিকেলে মুন্সীগঞ্জের সুখবাসপুরে পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে হিন্দু সম্প্রদায়ের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘পাহাড়ে একজনকে ধরা হয়েছিল। কিন্তু সে এ কাজের সঙ্গে জড়িতই ছিল না। কিছু সন্ত্রাসী তাকে জোর করে ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সোপর্দ করে। পরে দেখা গেল, ওখানে কোনো রেপই (ধর্ষণ) হয়নি। সেখানে একজন চাকমা ডাক্তার (ভিকটিমকে) পরীক্ষা করেছে। ওনাদের যে উদ্দেশ্য ছিল সেটা সফল হয়নি।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘এবার পূজা খুব শান্তিপূর্ণভাবে হচ্ছে। বিশেষ করে মুন্সীগঞ্জে পূজা আরও শান্তিপূর্ণভাবে হচ্ছে। এজন্য ডিসি-এসপিসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা ও এলাকাবাসীকে ধন্যবাদ।’
তিনি বলেন, ‘আরও একটা দিন আছে। ভালোভাবে কেটে যাবে। এরপরে ৬ তারিখে আছে লক্ষ্মীপূজা। সেটাও ভালোভাবে কেটে যাবে।’
এদিকে সিরাজদিখানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, পাহাড়ের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে পূজাকে অস্থিতিশীল করার জন্য একটি মহল চেষ্টা করেছিল তবে তারা সফল হতে পারেনি। পূজা যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা না যায় সে চেষ্টায় এসব ঘটনার পেছনে বাইরের ইন্ধন আছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বুধবার সন্ধ্যায় মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, পূজা যাতে ভালোভাবে না হতে পারে এবং বৌদ্ধ ধর্মের উৎসব যেন ভালোভাবে না হয় সেজন্যে পার্শ্ববর্তী দেশের সহযোগিতায় আমাদের দেশের কিছু সন্ত্রাসী সে চেষ্টা অব্যাহত রাখে।
এ সময় মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত, সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা আক্তার উপদেষ্টার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।