Image description

জুমার নামাজের পর থেকেই জমে উঠেছে আন্তর্জাতিক ইসলামী বই মেলা। বায়তুল মোকাররমের পূর্ব ও দক্ষিণ চত্বরে সহস্রাধিক মানুষের উপস্থিতি দেখা যায়। এদিন মেলা ঘুরে দেখেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতীব মুফতি আবদুল মালেকও।

শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ চত্বর ও পূর্ব চত্বর ঘুরে আন্তর্জাতিক ইসলামী বইমেলায় এই চিত্র দেখা যায়।

এ সময় দক্ষিণ চত্বরে ও পূর্ব চত্বরে থাকা ১৯৯ স্টলের মধ্যে প্রায় সবকটিতেই মানুষের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। মিশর, লেবানন ও পাকিস্তানের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলোর স্টলগুলোতে ক্রেতাদের বেশি ভিড় দেখা যায়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত পাঠকরা বই মেলার দুই চত্বরে ঘুরে পছন্দের লেখকের বই সংগ্রহ করেন।

জুমার পর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতীব মুফতি আবদুল মালেক বই মেলা ঘুরে দেখেন। এ সময় তিনি বিভিন্ন স্টলে গিয়ে বই দেখেন ও বিক্রেতাদের খোঁজ-খবর নেন।

প্রকাশক আবদুল কাদের খান জানান, প্রথম দিকে দর্শনার্থী ও ক্রেতা একটু কমই আসে। কিন্তু আজ ছুটির দিন এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সকাল থেকে খুবই ভালো বিক্রি হয়েছে। মেলা জমে উঠছে ভালোভাবেই।

মেলা কমিটির সদস্য রুহামা পাবলিকেশনের স্বত্বাধিকারী রফিকুল ইসলাম আমার দেশকে বলেন, এবারের আন্তর্জাতিক ইসলামি বইমেলা জমে উঠেছে। দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। সেইসাথে মাদরাসা শিক্ষার্থী ও আলেমরা এসে বই কিনছেন। সামনে আরও জমে উঠবে ইনশা-আল্লাহ।

উল্লেখ্য, মাসব্যাপী এ বইমেলায় ১৯৯টি স্টল রয়েছে। এতে ইসলামিক ফাউন্ডেশন, দেশের স্বনামধন্য ইসলামী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান, নেতৃস্থানীয় ইসলামী পুস্তক ব্যবসায়ী ছাড়াও মিশর, লেবানন ও পাকিস্তানের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। এ মেলায় লেখক কর্নার, ফুড কর্নার, আলোচনা সভা ও কবিতা পাঠের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মেলাটি প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ১০টা এবং ছুটির দিনে সকাল ১০ টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত রাখার কথা রয়েছে।

মেলা উপলক্ষ্যে মাসজুড়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের স্টল, জেলা ও বিভাগীয় কার্যালয়ে ইফা প্রকাশিত বই সর্বনিম্ন ৪০ শতাংশ হতে সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ কমিশনে বিক্রয় করা হচ্ছে।