
রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় ঝটিকা মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার তেজগাঁও কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক এস এম আশরাফুল আলম আসকরকে (৬০) কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এদিকে বাংলামোটর এলাকায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের পক্ষে মিছিল করার অভিযোগে একই মামলায় দলটির কৃষি ও সমবায় উপকমিটির সদস্য মো. কামরুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তারের আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিন অধ্যাপক আসকরকে আদালতে হাজির করে কারাগারে রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তেজগাঁও থানার উপপরিদর্শক মো. শরিফুল ইসলাম।
আবেদনে বলা হয়, আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে মামলার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে যথেষ্ট সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। এ আসামি কার্যক্রমে নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সংগঠনের মাধ্যমে ঢাকা শহরে ঝটিকা মিছিলের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। মিছিল আয়োজনে তিনি অর্থের যোগানদাতা হিসেবেও তার বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়া গেছে। তি জামিনে মুক্তি পেলে পলাতক হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবী ইসমাইল হোসেন পাটোয়ারী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজিজুল হক দিদার জামিনের বিরোধিতা করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত অধ্যাপক আসকররের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ফার্মগেইট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে তেজগাঁও থানাধীন মনিপুরীপাড়াস্থ ২/এ পার্ক টাউন রেস্টুরেন্টের সামনে ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ব্যানারসহ মিছিল করেন। একপর্যায়ে রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল ও জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির উদ্দেশে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান।
এ ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেন তেজগাঁও থানার উপপরিদর্শক একেএম নিয়াজউদ্দিন মোল্লা।
বাংলামোটরে ঝটিকা মিছিল: আওয়ামী লীগ নেতা কামরুজ্জামান কারাগারে
এদিকে বাংলামোটর এলাকায় আওয়ামী লীগের মিছিল করার অভিযোগে একই মামলায় দলটির কৃষি ও সমবায় উপকমিটির সদস্য মো. কামরুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানো আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এদিন আসামিকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাকরাইল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই হাফিজুর রহমান।
আসামিপক্ষের আইনজীবী শিহাব মাহমুদ জামিন চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর আজিজুল হক দিদার জামিনের বিরোধিতা করেন।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে ঢাকার মগবাজার এলাকা থেকে কামরুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের সদস্যরা গত ১২ সেপ্টেম্বর বেলা পৌনে ৩টার দিকে রমনা থানার রুপায়ন টাওয়ারের সামনে মিছিল করেন। তারা সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে তাদের নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের কার্যক্রমকে গতিশীল করা, সরকার তথা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রের ক্ষতি সাধনের লক্ষ্যে অপপ্রচার করছিল। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে কয়েকজনকে আটক করে।
এ ঘটনায় ওইদিনই রমনা মডেল থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করে পুলিশ।