
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, এটা তাদের একটা অর্জন বলে উল্লেখ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে শহীদ আবু সাঈদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে দলের সমন্বয় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতোমধ্যে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়েছে। শিগগিরই আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পর তারাই প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি তুলেছিলেন।
তিনি বলেন, যদি আমরা গণতান্ত্রিক ও নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করতে চাই, তবে গণঅভ্যুত্থানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা যে ভূমিকা রেখেছে, তার স্বীকৃতি হিসেবে তাদের নেতৃত্বের সুযোগ দিতে হবে। নেতৃত্ব ছাত্রদের মধ্য থেকেই উঠে আসতে হবে। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে দেশে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হওয়া আমাদের জন্য একটি বড় অর্জন বলে আমি মনে করি।
ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ফলাফলে এনসিপি সমর্থিত প্যানেলের বিপর্যয়কে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নতুন ছাত্র নেতৃত্ব গড়ে উঠবে- এটাই ছিল আমাদের প্রত্যাশা। কিন্তু দুঃখের বিষয়, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের যে প্যানেলকে আমরা সমর্থন করেছিলাম, তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগরে আশানুরূপ ফল করতে পারেনি।
তিনি বলেন, তাই আমরা নিজেরাও খুঁজে দেখছি, এই এক বছরে কোথায় ভুল হলো, কেন সফল হতে পারিনি এবং আমাদের ব্যর্থতার জায়গা কোথায় ছিল। এর ফলে আমাদের মধ্যে কিছুটা আত্মসমালোচনা ও আত্মমূল্যায়ন এসেছে। সাংগঠনিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এবং সারা দেশে যতটা শক্তিশালী হওয়ার কথা ছিল, এই এক বছরে আমরা সেই শক্তি অর্জন করতে পারিনি।
নাহিদ আরও বলেন, সাংগঠনিক শক্তি যথাযথভাবে অর্জন করতে না পারার বিভিন্ন কারণ আছে। এর পেছনে নানা বাস্তবতা ছিল। গত এক বছরে বাংলাদেশ নানা অস্থিরতা ও নানা ধরনের পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গেছে এবং এখনো তা চলছে। গণঅভ্যুত্থানের পর এই সব দায়িত্ব ও দায়ভার আমাদের ওপর এসে পড়েছিল। তাই আমরা এখন আত্মমূল্যায়ন ও আত্মসমালোচনা করছি। সামনের দিকে যাতে একই ভুল না হয়, সে বিষয়ে আমরা সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। তবে আমাদের সমর্থিত ছাত্র সংগঠন বা প্যানেল খুব অল্প সময়ের জন্য রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে।
সমন্বয় সভায় এনসিপির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্যরা, অঙ্গসংগঠনের নেতা এবং জেলা, মহানগর, উপজেলা ও থানা কমিটির সমন্বয়কারীরা উপস্থিত ছিলেন।