
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাচনী সীমানা নির্ধারণ শুনানিতে সংঘর্ষের ঘটনায় তদন্তের অংশ হিসেবে আগামীকাল (১৪ সেপ্টেম্বর) সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) হেডকোয়ার্টার্সের প্রফেশনাল স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড ইন্টারনাল ইনভেস্টিগেশন (পিএস অ্যান্ড আইআই) ডিভিশনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ফরিদ আহমেদের স্বাক্ষরিত নোটিশে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, গত ২৪ আগস্ট নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (আশুগঞ্জ-সরাইল) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের সীমানা নির্ধারণ শুনানিতে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (নং-২০৭২) করা হয়েছে।
তদন্তে প্রকৃত তথ্য উদঘাটনের জন্য আগামীকাল সকাল ১১টায় তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে (শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের বিপরীতে, শ্যামলী) হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মো. আতাউল্লাহ এবং তার মনোনীত পাঁচজন সাক্ষীকেও একই সময়ে উপস্থিত থাকতে হবে।
এ বিষয়ে আতাউল্লাহ জানান, “নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে আমাকে বিজয়নগরকে অখণ্ড রাখার দাবি উপস্থাপন করতে দেওয়া হয়নি। বক্তব্য দেওয়ার আগেই বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা লোকজন দিয়ে আমার উপর আক্রমণ চালান। এ ঘটনার পর আমি লিখিত অভিযোগ করেছি। ডিএমপি তদন্তের স্বার্থে আমাকে ও পাঁচজন সাক্ষীকে ডেকেছে। ইসি প্রকৃত ঘটনা আড়াল করছে। আমি আগামীকাল হাজির হয়ে সত্য তুলে ধরব। বিজয়নগরকে অখণ্ড রাখার লড়াই আমৃত্যু চালিয়ে যাবো, ইনশাআল্লাহ।”