Image description

জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) থাকা ভুলত্রুটি সংশোধন এবং হারানো কার্ড তোলা নিয়ে নতুন নীতিমালা হচ্ছে। ইতোমধ্যে খসড়াও প্রস্তুত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিষয়টি চূড়ান্ত হলে সংশোধনের ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনের একটি নম্বর থেকে চারটির বেশি আবেদন করা যাবে না। একই সঙ্গে এনআইডি হারিয়ে যাওয়ার পর সে কার্ড তুলতে প্রয়োজন হবে না সাধারণ ডায়েরির (জিডি) নথি।

জানা গেছে, এনআইডি সংশোধনের নামে একশ্রেণির প্রতারক নানাভাবে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। সে প্রতারকদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে ব্যবস্থা নিচ্ছে ইসি। ভবিষ্যতে একই সেলফোন থেকে চারটির বেশি আবেদন করলেই প্রক্রিয়াটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। একই সঙ্গে জিডি করতে গিয়ে বাড়তি বিড়ম্বনার শিকার হন নাগরিকরা। নতুন নীতিমালা চূড়ান্ত হলে এ সংক্রান্ত ঝামেলা থেকেও নিস্তার পাবে জনগণ।

এনআইডি সেবা সহজ করতে এ দুটি ক্ষেত্রে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) নীতিমালা প্রণয়ন করছে ইসি। এ বিষয়ে এনআইডি অনুবিভাগের ডিজি এএসএম হুমায়ুন কবির আমার দেশকে বলেন, ‘আমরা এনআইডিতে থাকা নামের ছোটখাটো ভুল সংশোধন, জন্মতারিখের অসংগতি, ঠিকানা স্থানান্তর, হারানো কার্ড উত্তোলন এবং ভোটার হওয়ার কার্যক্রম সহজীকরণ করছি। এক্ষেত্রে দুষ্টের দমন এবং শিষ্টের লালন—এ দুই পন্থা অবলম্বন করা হচ্ছে। কারণ এনআইডি আবেদনগুলো বেশির ভাগ মানুষ কম্পিউটারের দোকান থেকে করে থাকে।

আমরা দেখতে পাচ্ছি, বেশির ভাগ আবেদনকারীর যোগাযোগের মোবাইল নম্বরটি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নয়; অন্যজনের। ফলে ধাপে ধাপে এনআইডির কার্যক্রমটি হচ্ছে, সেটি অনেক সময় আবেদনকারী জানতে পারেন না। এটাকে পুঁজি করে মধ্যস্বত্বভোগী প্রতারক চক্র নানা অজুহাতে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ অসাধু চক্র অন্যকে জিম্মি করে চারটির বেশি আবেদন যেন একটি মোবাইল ফোন থেকে করতে না পারে সেজন্য নীতিমালা প্রণয়ন করা হচ্ছে। আশা করছি, সহসাই বিষয়টির সুরাহা হবে। এমনকি নাগরিকদের ভোগান্তি কমবে।

তিনি আরো বলেন, ‘বৈধ একজন এনআইডিধারীর পরিচয়পত্র হারালে তার জিডি করা বাধ্যতামূলক ছিল। এ নিয়ে নাগরিকদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হতো। আমি দায়িত্ব নিয়ে ছোটখাটো এ ধরনের ভোগান্তি লাঘবে কমিশনের সঙ্গে পরামর্শ করি; তারা আমার নিবেদন রেখেছেন। এখন থেকে জিডি ছাড়াই হারানো এনআইডি উঠানো যাবে।

শীর্ষনিউজ