Image description
 

রাজধানীর গুলশানে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হলো নাগরিক সেবা কার্যক্রম। এখানে একজন উদ্যোক্তা হিসেবে যোগ দিয়েছেন ফাতেমা ইসলাম। একসময় চাকরি করলেও এখন প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে তিনি হয়েছেন উদ্যোক্তা। সরকারি ব্যবস্থাপনায় সেবা প্রদান করে তিনি নিজেই আয় করতে পারবেন।

 

 

 

 

ফাতেমা ইসলাম বলেন, “বার্থ সার্টিফিকেট, এনআইডি, ভূমি সেবা, পাসপোর্ট ও ট্রেড লাইসেন্স—এই সেবাগুলো এখন নাগরিকরা আমাদের কাছ থেকে আবেদন করতে পারছেন।”

 

বর্তমানে নাগরিকরা বিভিন্ন দপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রায় ৪০০ ধরনের সেবা নিয়ে থাকেন। কিন্তু এসব সেবা নিতে গিয়ে হয়রানি ও দালালের দৌরাত্ম্যের কারণে ভোগান্তির শিকার হতে হয়। অনিয়মের এই শৃঙ্খল ভাঙতে প্রধান উপদেষ্টার উদ্যোগে চালু হলো নাগরিক সেবা কেন্দ্র।

 

 

আইসিটি মন্ত্রণালয় প্রাথমিকভাবে রাজধানীর গুলশান, উত্তরা ও নীলক্ষেতে তিনটি কেন্দ্রে পাঁচটি সেবা দিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছে। আগামী এক বছরের মধ্যে ৫০টির বেশি কেন্দ্রসহ মোট ১০০টি কেন্দ্র চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। এসব কেন্দ্রে সরকারি ব্যবস্থাপনায় সেবা দেবেন ব্যক্তি উদ্যোক্তারা, যা হবে সামাজিক ব্যবসার একটি নতুন উদাহরণ।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত ও সহকারীরা গুলশান কেন্দ্রের উদ্বোধনী কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। তারা জানান, বিকেন্দ্রীকরণের এই উদ্যোগ সফল হলে নাগরিকদের আর সরকারি অফিসে গিয়ে ঘুরতে হবে না। ফি আদায়, তথ্য সংরক্ষণ ও সময়মতো সেবা প্রদান মনিটর করবে সরকার।

একজন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলেন, “যে সব সেবা অনলাইনে দেওয়া সম্ভব, সেগুলো এক জায়গায় একত্রে নাগরিকরা পেয়ে যাবেন। এর জন্য উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা সরকার দেবে। সব মন্ত্রণালয় এপিআই সংযোগের মাধ্যমে ডিজিটালি যুক্ত থাকবে।”

 

 

নাগরিক কেন্দ্র থেকে নিরবিচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিত করতে ট্রিপল থ্রি নম্বরে একটি হটলাইন চালু করা হয়েছে।