Image description
 

দেশে মোট মামলার ৮০ শতাংশ ভূমি সংক্রান্ত বলে মন্তব্য করেছেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ।

 

বৃহস্পতিবার ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘ভূমি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন আইন সম্পর্কে ধারণা প্রদান এবং রিট মামলার জবাব প্রেরণ প্রক্রিয়া’ বিষয়ক লার্নিং সেশনে মুখ্য আলোচক হিসেবে তিনি এ কথা বলেন।

 

তিনি বলেন, দেশে জমি নিয়ে সবচেয়ে বেশি ঝামেলা হয় অজ্ঞতা আর অসচেতনতার কারণে। ভূমির সাথে মামলার একটি সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে, কারণ ভূমির মালিকানা, দখল, হস্তান্তর, বা অন্য কোনো বিরোধ দেখা দিলে তা আদালতে মামলা হিসেবে দায়ের করা হয়, যা দেওয়ানি বা ফৌজদারি প্রকৃতির হতে পারে।

সালেহ আহমেদ বলেন, এই মামলাগুলোর মাধ্যমে জমির আইনি অধিকার প্রতিষ্ঠা, অবৈধ দখল থেকে মুক্তি বা জমির সঠিক মালিকানা নির্ধারণ করা হয়। মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন কর্মরত সকলের ভূমি আইন জানা জরুরি, কারণ এটি সম্পত্তির অধিকার সুরক্ষিত করে, জালিয়াতি ও দখল প্রতিরোধে সাহায্য করে, ভূমি সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি করে এবং সরকারি ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের মতো সুযোগ-সুবিধা পেতে সহায়তা করে।

সিনিয়র সচিব বলেন, জমির মূল্যবৃদ্ধি, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপে অপরিকল্পিত নগরায়ণ, আবাসন তৈরি, উন্নয়নমূলক কার্য, শিল্প কারখানা স্থাপন, রাস্তাঘাট নির্মাণ এবং প্রাকৃতিক কারণে, উন্নয়নের প্রয়োজনে প্রতিনিয়তই ভূমির প্রকৃতি ও শ্রেণিগত পরিবর্তন হচ্ছে। দেশের বিস্তীর্ণ এলাকার কৃষি জমি, বনভূমি, টিলা, পাহাড় ও জলাশয় বিনষ্ট হয়ে খাদ্য শস্য উৎপাদনের নিমিত্ত কৃষিজমির পরিমাণ ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে এবং পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। ভূমির সঠিক ব্যবহার, ভূমির বৈধ মালিকানা নিশ্চিত করা এবং ভূমি সংক্রান্ত অপরাধ, অবৈধ দখল, জালিয়াতি ও অবৈধভাবে জমির শ্রেণি পরিবর্তন রোধের লক্ষ্যে ভূমি সংক্রান্ত আইনসমূহ প্রণীত হয়েছে ।

প্রসঙ্গত, দেশে ভূমি সংক্রান্ত উল্লেখযোগ্য আইনসমূহের মধ্যে রয়েছে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২৩; স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুমদখল আইন, ২০১৭ এবং ভূমি সংস্কার আইন, রেজিস্ট্রেশন আইন-১৯০৮; ২০২৩। এছাড়া, ভূমি জোনিং ও সুরক্ষা আইন, ২০২৪ (খসড়া) প্রণয়ন করা হয়েছে। বর্তমানে উচ্চ ও নিম্ন আদালতে প্রায় ৪৫ লাখ মামলা নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। এরমধ্যে ৮০ শতাংশই ভূমি সংক্রান্ত।