
মাদারীপুরের ডাসার উপজেলা সমবায় কার্যালয় যেন ব্যক্তিগত অফিস মনে করেন,সমবায় কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসেন ও সমবায় কার্যালয়ের পরিদর্শক সোমাইয়া আক্তার সোনিয়া।
খোজ নিয়ে জানাগেছে, সমবায় কর্মকর্তা গত ২০২৩ সালের ২০ আগস্ট ডাসার উপজেলা কার্যালয়ে সমবায় কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন।যোগদান করার পর থেকেই তিনি সপরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকেন। দীর্ঘদিন কর্মস্থলে না এসেও ঢাকায় বসে কর্মস্থলের হাজিরা খাতায় সই করেন নিয়মিত। এমনই অভিযোগ উঠেছে ডাসার উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসেন এর বিরুদ্ধে। তবে তিনি এসব অভিযোগ সত্য নয় দাবী করেন, এই কর্মকর্তা।এছাড়া সমবায় কার্যলয়ের
পরিদর্শক সোমাইয়া আক্তার সোনিয়া নিয়মিত অফিসে আসেন না বলে অভিযোগ উঠেছে।
অফিস সহায়ক রাব্বি বলেন,স্যার আমাকে ঢাকায় হাজিরা খাতা নিয়ে যেতে বলেন,পরে আমি হাজিরা খাতা নিয়ে গেলে স্যার ঢাকায় গেলে হাজিরা খাতায় সই করেন। আমি সামান্য চাকুরি করি। অফিসের বস বললে আমি যেতে বাধ্য।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অফিসের এক কর্মচারী জানান,স্যার দীর্ঘদিন ধরে কর্মস্থলে না এসে প্রতি মাসের শেষের দিকে অফিস সহকারীদের ঢাকায় তার বাসায় ডেকে হাজিরা খাতা নিয়ে যেতে বাধ্য করেন। হাজিরা খাতা নিয়ে গেলে তিনি বাসায় বসেই সই করে মাসের পর মাস বেতন ভাতা তুলেন। সমবায় অফিসের পরিদর্শক সোমাইয়া আক্তার সোনিয়া স্থানীয় হওয়ায় প্রভাব বিস্তার করে তিনিও নিয়মিত অফিসে থাকেন না।নামমাত্র হাজিরা খাতায় সই করে,বেশীরভাগ সময় বাড়ীতে অবস্থান করেন।অফিসে টি বিল বাবদ দেড় লাখ টাকা এসেছে সেটাও তারা কোন কাজ না করে ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়েছে।
তাদের অনিয়মের বিষয়টি জানাজানি হলে সমবায় কর্মকর্তা গত এক সপ্তাহ ধরে অফিসে আসছেন। অনিয়মের বিষয়ে মুখ খোলায় তিনি অফিসের এক কর্মচারিকে স্বেচ্ছায় দরখাস্ত দিয়ে অফিস থেকে চলে যেতে বলেন। তা না হলে তিনি চাকুরি খাওয়ার হুমকি দেন।
ডাসার সমবায় কার্যালয়ের পরিদর্শক সোমাইয়া আক্তার সোনিয়ার মুঠোফোনে ফোন করলে সাংবাদিকের পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দিয়ে মুঠোফোনটি বন্ধ রেখেছেন।
ডাসার উপজেলার সমবায় কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো মিথ্যে।
ডাসার উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফ-উল আরেফীনের সরকারি নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া গেছে।