
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার সাবেক সম্পাদক নঈম নিজামসহ দুই জনকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নূরে আলমের আদালত এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে আগামী ২১ অক্টোবর পত্রিকা বিজ্ঞপ্তি সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য করেন আদালত।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. জুয়েল মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আজকে বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার প্রকাশক ময়নাল হোসেন চৌধুরী আদালতে হাজির হয়ে জামিন নিয়েছেন। অপর দুই ব্যক্তি পলাতক থাকায় তাদের হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ দেন আদালত। আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রাপ্ত অপর আসামি হলেন, বাংলা ইনসাইডার পত্রিকার প্রধান সম্পাদক সৈয়দ বোরহান কবীর।
এর আগে গত ২৭ জুন নঈম নিজামসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন আদালত। অপর দুই আসামিরা হলেন, বাংলাদেশ প্রতিদিন প্রকাশক ময়নাল হোসেন চৌধুরী এবং বাংলা ইনসাইডার পত্রিকার প্রধান সম্পাদক সৈয়দ বোরহান কবীর।
২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন বাদী হয়ে নঈম নিজামসহ সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওইদিন আদালত ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টকে (সিআইডি) অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। মামলায় আরও যাদের আসামি করা হয় তারা হলেন, ওয়েবসাইট ভাইরাল প্রতিদিনের অ্যাডমিন, বর্ণনাকারী, ভিডিও প্রস্তুতকারী ও টেকনিশিয়ান।
গত বছরের ২০ নভেম্বর তিনজনকে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেন সিআইডির এসআই তরিকুল ইসলাম।
মামলা অভিযোগে বলা হয়, ২০২১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় ‘নুসরাতকে দিয়ে বিচ্ছু সামশু সিন্ডিকেটের ফের ষড়যন্ত্রমূলক মামলা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত করা হয়। তা অনলাইনেও দেয়া হয়। এছাড়াও আসামিরা ব্যারিস্টার সরোয়ারকে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার হোতা হিসেবে উল্লেখ করে সেসব তথ্য ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন৷
মামলায় সারোয়ার বলেছেন, তিনি নুসরাতের আইনজীবী নন। নুসরাতের মামলার নারাজি আবেদনের শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন। গত ৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ইনসাইডার পত্রিকায় ‘কে এই সারোয়ার’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের কথাও মামলায় উল্লেখ করা হয়।