Image description

দিরাইয়ে সালিশ পক্ষপাতমূলক রায়ের কারণে আত্মহত্যা করেছেন সোনা মিয়া (৫০) নামে এক মসজিদের মোতাওয়াল্লি।
মৃত্যুর আগে সোনা মিয়া চিরকুট লিখে গেছেন। তাতে লিখেছেন, ‘আমি আর পারলাম না; আমার কোনো রাস্তা নাই। বাধ্য হয়ে আমার ফাঁসিতে ঝুলতে হইলো। বিদায় নিলাম চিরতরে এই পৃথিবী হইতে।’
সোমবার রাতে উপজেলার ধাপকাই গ্রামে ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। মঙ্গলবার খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
চিরকুট পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দিরাই থানার ওসি মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক।
সোনা মিয়া ওই গ্রামের মৃত আশকর আলীর ছেলে। তিনি পশ্চিম ধাপকাই চৌরাস্তা জামে মসজিদের মোতাওয়াল্লি ছিলেন।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, সোনা মিয়া প্রতিদিনের মতো রাতের খাবার খেয়ে নিজ কক্ষে ঘুমাতে যান। রাতের কোনো এক সময় তিনি আত্মহত্যা করেন। আত্মাহত্যা ঘটনায় তিনি তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে পাশের গ্রামের তুহিন ও তার বাবার নাম চিরকুটে লিখে গেছেন।

জানা গেছে, সোনা মিয়া সিলেট পুবালি মটরস ও ইসলাম মটরস থেকে পাশের ফাতেমানগর গ্রামের আরফান আলীর ছেলে তুহিন মিয়ার মাধ্যমে দুটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা কিস্তিতে কিনেছিলেন। কিস্তির সব টাকা তুহিন মিয়ার মাধ্যমে পরিশোধ করেন। কিন্তু তুহিন এ টাকা সিএনজি দোকান মালিককে না দিয়ে আত্মসাৎ করলে দুটি মামলা করেন মালিকপক্ষ। এ নিয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ গত শুক্রবার দিরাই পৌর শহরের সোলেমান মিয়ার বাড়িতে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় তুহিন মিয়া চার কিস্তিতে সোনা মিয়াকে এক লাখ টাকা পরিশোধ করবেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- পৌর শহরের ভরারগাও গ্রামের কন্ডল মিয়া, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মিজানুর রহমান, আরিফুর রহমান দুলাল প্রমুখ।

বৈঠকে উপস্থিত দিরাই পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মিজানুর রহমান বলেন, আমরা সালিশ বৈঠক থেকে বোর্ডের মাধ্যমে বিষয়টি সুন্দর ফয়সালা করে দিয়েছি। ওসি মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শীর্ষনিউজ