Image description

গোপালপুর থানার এসআই রাসেলের দেওয়া থাপ্পড়ে আলমনগর ইউনিয়ন যুবদলের সদস্যসচিব আমিনুল ইসলাম গুরুতর আহত হয়েছেন। এতে কানে প্রচণ্ড আঘাত পাওয়ায় তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।

 

মঙ্গলবার দুপুরে গোপালপুর থানার একটি কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

 

জানা যায়, নবগ্রাম উত্তর মৃত আ. মান্নানের দুই ছেলে মিঠু আকন্দ ও মিজু আকন্দের জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি করতে সোমবার সালিশি বৈঠকে বসে স্থানীয়রা। সালিশে মিঠু আকন্দ অনুপস্থিত থেকে মঙ্গলবার পুলিশ নিয়ে হাজির হন। এ সময় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে।

এ ঘটনায় থানা থেকে ফোন করে যুবদলের সদস্যসচিব আমিনুল ইসলামকে থানায় যেতে বলা হয়। পরে উপজেলা বিএনপির সম্পাদক কাজী লিয়াকতের (ভিপি) উপস্থিতিতে ওসির রুমে বৈঠক বসে। সেখানে উত্তেজনার সৃষ্টি হলে যুবদল নেতা আমিনুল ও এসআই রাসেলকে রুম থেকে বেরিয়ে যেতে বলা হয়।

যুবদল নেতা আমিনুল ইসলামের অভিযোগ, রুম থেকে বেরিয়ে আসার পর আরেকটি রুমে নিয়ে এসআই রাসেল তাকে কান বরাবর সজোরে থাপ্পড় দেন।

এসআই রাসেল বলেন, ৯৯৯ কল পেয়ে সেখানে গিয়েছিলাম, থানায় কোনো মারধরের ঘটনা ঘটেনি।

গোপালপুর থানার ওসি গোলাম মুক্তার আশরাফ উদ্দিন বলেন, আলমনগরের বিএনপি নেতা পুলিশের কাজে বাধা দিয়েছিলেন। এজন্য তাকে থানায় ডেকে আনা হয়েছিল। পরে আমার অফিসারের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমার অফিসার ও নেতাদের ডেকে এনে বিষয়টি মীমাংসা করে দিয়েছি।