Image description
শহীদদের স্মৃতি লালন করার একটি সুন্দর উপায় হলো তাদের নামে সন্তানদের নামকরণ করা। রাসূল সা. এর যুগেও এরকম কিছু দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়। উহুদ যুদ্ধের শহীদ ছিলেন মুসআব ইবনে উমাইর রা.। পরবর্তীতে অনেক সাহাবি তাঁদের সন্তানদের নাম মুসআব রেখেছেন এই শহীদকে স্মরণ করে।
 
রাসূলুল্লাহ সা. এর চাচা ও "সায়্যিদুশ শুহাদা" উপাধিপ্রাপ্ত শহীদ হলেন হজরত হামজা ইবনে আব্দুল মুত্তালিব রা.।। বহু সাহাবি তাঁদের ছেলের নাম হামজা রেখেছেন তাঁর সাহস ও শহীদির স্মরণে। একই দৃষ্টান্ত হজরত জাফর ইবনে আবু তালিব রা. এর ক্ষেত্রেও দেয়া যায়।
 
শহীদদের নামে নামকরণ করার একাধিক কারণ ছিল। প্রথমত শহীদেরা ইসলামে মহান মর্যাদার অধিকারী। তাঁদের নাম রাখা ছিলো এক ধরনের দুআ, যাতে সন্তানও সাহসী, ঈমানদার ও ত্যাগী হয়। আরেকটি কারণ হলো, শহীদদের নামে নামকর‌ণ করার মাধ্যমে ইতিহাস সংরক্ষন করা হতো। ইসলামের ইতিহাস ও বীরত্বগাঁথা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে পৌঁছে যেতো এই নামকরণের মাধ্যমে। বর্তমান ফিলিস্তিনেও অনেকেই গাজায় শহীদদের নামে তাই নামকরণ করছেন।
 
আমাদের এই ভূখন্ডেও এই দৃষ্টান্ত ছিল। একজন শহীদের দৃষ্টান্ত তো দেয়াই যায়। তার নাম মোস্তফা শওকত ইমরান। তার এই নামটি সমসাময়িক অনেকেই স্মরণে রেখেছেন তাদের সন্তানদের নামানুকরণের মাধ্যমে। মরহুম মাওলানা সরদার আব্দুস সালাম তার সন্তানের নাম রেখেছেন মোস্তফা শওকত ইমরান। আরেকজন সাবেক কর্মপরিষদ সদস্য মরহুম শেখ মোহাম্মাদ নরুদ্দিন তার সন্তানের নাম রেখেছেন ইমরান। মরহুম আমীরে জামায়াত মকবুল আহমাদ তার এক ছেলের নাম রেখেছেন ইমরান। এরকম আরো উদাহরণ দেয়া যায়।
 
বর্তমানে এই সিলসিলাটা কমে যাচ্ছে। জাতীয় সমাবেশের দিন মঞ্চে দাঁড়িয়ে আছি। হঠাৎ একটি বাচ্চা ছেলে, বয়স ৯-১০ বছর হবে। ওর বাবা ওকে স্টেজে উঠিয়ে দিলেন। সে এসে আমার সাথে ছবি তুলতে চাইলো। আমি প্রশ্ন করলাম, মঞ্চে এত লোক- তোমার আমার সাথেই ছবি তুলতে হবে কেন? তখন ও বললো, আমার নাম আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ। আমার জন্ম হয়েছিল আপনার বাবার ফাঁসি কার্যকরের পরে। আমার বাবা তাই আপনার বাবার নামে আমার নাম রেখেছেন।
সে মুহুর্তে শরীরটা কেঁপে উঠেছিল আমার..