
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ৯ দফার ঘোষণা দিয়ে দেশব্যাপী পরিচিতি পান আব্দুল কাদের। অভ্যুত্থানের পর গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ নামে একটি সংগঠন তৈরি করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব নেন।
এবারের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে তিনি ভিপি (সহ-সভাপতি) পদে নির্বাচন করছেন। আব্দুল কাদেরের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলানিউজের ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট ফাহিম হোসেন।
বাংলানিউজ: ঢাকা কলেজের হতাশ শিক্ষার্থী থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপি প্রার্থী— রাজনৈতিক যাত্রায় এত উত্থান-পতনের এতটা পথ কীভাবে এলেন?
আব্দুল কাদের: রাজনীতির প্রতি সবসময় একটা আগ্রহ কাজ করত। তবে রাজনীতি বলতে আমি বুঝতাম—ছাত্রদের অধিকারের প্রশ্ন কীভাবে সমুন্নত রাখা যায়। ঢাকা কলেজে পড়ার সময় মাঝে মাঝে হতাশ হলে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতাম, বেশিরভাগ সময় বিজয় একাত্তর হলের সামনে বসে থাকতাম। খাওয়া-দাওয়াও এখানে করতাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার পর দেখি, আমার কাঙ্ক্ষিত বিজয় একাত্তর হল আমি পেয়েছি।
খুশিতে আত্মহারা ছিলাম। কিন্তু প্রথম বর্ষে হলে উঠে দেখি আমাকে দাস বানিয়ে রাখা হচ্ছে। বিজয় একাত্তর হলের গণরুমে উঠে দেখি আমরা ২১৭ জন শিক্ষার্থী একসঙ্গে থাকছি। রাতের বেলা ফিরছি। ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত গেস্টরুম। এরপর ভাইদের অ্যাসাইনমেন্ট— ‘গাছে কতটা কাঠাল আছে, তা গুনে নিয়ে এসো। ’
এসব নির্যাতনের বিরুদ্ধে লেখার কারণে আমাকে হল থেকে বের করে দেওয়া হয়। করোনার সময় আমি সবচেয়ে দুঃসময় পার করি। আমি পরিবারের বড় সন্তান। আর্থিক সংকট চোখের সামনে দেখি। তখন গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে কাজ করলাম দুই মাস। পরে মাস্কের ফ্যাক্টরিতে কাজ করলাম। তখন অনলাইনে লেখালেখি করা খুব কঠিন ছিল। অল্প কিছু মানুষ লেখালেখি করতেন।
এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে ছাত্র অধিকার পরিষদে যুক্ত হই। আবরার ফাহাদের তৃতীয় শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আমরা টিএসসিতে একটি স্মরণসভার আয়োজন করি। ছাত্রলীগ প্রোগ্রাম শুরু করার আগে হামলা করে। ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য গেলে সেখানেও হামলা করে। পরে পুলিশ এসে আমাদের নামেই মামলা দেয় এবং জেল খাটি।
জেল থেকে ফেরার পর আর চূড়ান্ত পরীক্ষা দিতে পারিনি। তবে যে রাজু থেকে জেলে গিয়েছি, আবার সেখানেই ফিরলাম। পরে ছাত্রশক্তি করলাম। তখন অবাস্তব মনে হলেও শেখ হাসিনার পতন আমরা মনে মনে ধারণ করতাম। এরপর গণঅভ্যত্থান এলো। সেখানে আমাদের সামনে থাকার সুযোগ হলো। বিগত দিনের রাজনীতির অভিজ্ঞতা সেখানে কাজে লেগেছিল।
৫ আগস্টের আগে আমরা কোনো কাজ করতে পারিনি। উপাচার্যের কাছে গেলে ঘণ্টাদুয়েক বসিয়ে রাখত। নারীদের জন্য নামাজের জায়গার ব্যবস্থা করি, তা ছাত্রলীগ ভেঙে দেয়। আগস্টের পর একটা চিন্তাভাবনা আসে, যে কাজ তখন করতে পারিনি, সে কাজ এখন করব। ফলে ৫ আগস্টের পর এখানে রয়ে গেছি। একটি সংগঠন গঠন করেছি। ক্যাম্পাস বিনির্মাণের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।
বাংলানিউজ: এক পদের জন্য আপনার দলের একাধিক নেতা মনোনয়ন নিয়েছেন। নিজের দলের নেতার বিরুদ্ধেই নির্বাচনে দাঁড়ানোকে কীভাবে দেখছেন? এটি আপনাদের ভোটের মাঠে পিছিয়ে দেবে কি না?
আব্দুল কাদের: গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখসারির যোদ্ধা এবং কোনো না কোনোভাবে গণঅভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন, এমন ব্যক্তিদের নিয়ে আমরা সংগঠনটি করেছিলাম। তারা দুটি দায়বদ্ধতা অনুভব করেছেন। প্রথমত, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার উৎখাত, দ্বিতীয়ত, একটি নতুন ব্যবস্থা হাজির করা। নতুন ব্যবস্থা হাজির করতে হলে আপনাকে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নিতে হবে। ডাকসু তেমন একটি প্ল্যাটফর্ম।
আমাদের সংগঠনের দক্ষ নেতা বেশি। সে তুলনায় ডাকসুতে পদসংখ্যা কম। ফলে আমরা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক প্যানেল গঠনের চেষ্টা করেছি। এ ছাড়া যারা স্বতন্ত্র পদে দাঁড়িয়েছেন, তাদের সবার অডিয়েন্স আলাদা। ফলে আমরা সামগ্রিক স্বার্থে একটি প্যানেল দিয়েছি। এর বাইরে যারা দাঁড়াতে চান, তাদের কাউকে আটকে রাখব না বলে সাংগঠনিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তবে সাংগঠনিক জায়গা থেকে বললে এক পদে সংগঠনের একাধিক প্রার্থী আমাদের ভোটের মাঠকে একটু ক্ষতিগ্রস্ত করবে। এটি অস্বীকার করার কিছু নেই। যারা দাঁড়িয়েছেন, তারা সংগঠনের সিদ্ধান্ত মেনে নেননি। আবার আমরাও কোনো কঠিন ভূমিকা রাখছি না এক্ষেত্রে।
বাংলানিউজ: দল গঠনের পর আপনারা ঘোষণা দিয়েছেন, ‘হল এবং একাডেমিক এরিয়ায় কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন না’। অন্যদিকে ছাত্রদল এবং ছাত্রশিবিরের হলে কমিটি রয়েছে। ভোটের মাঠে এটি কেমন প্রভাব রাখতে পারে?
আব্দুল কাদের: হলে কমিটি থাকলে সংগঠন শক্তিশালী হয়। অবস্থান ভালো থাকে। কিন্তু আমরা চিন্তা করেছি, আমাদের হাত ধরে যেন হলে হলে পুনরায় নোংরা রাজনীতি ফিরে না আসে। ছাত্রশিবির যেটা বলতে চাচ্ছে, ‘আমাদের হলে কমিটি আছে, তবে আমরা কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করি না। ’ তারা না হয় হলে রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা না করে দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করলেন, কিন্তু অন্যরা তো হল কমিটি দিয়ে জোরপূর্বক নিজেদের প্রোগ্রামে নিয়ে যাওয়ার রাজনীতিটা করবে। সিট ব্যবস্থা করে দেওয়ার রাজনীতি করবে। ফলে সংগঠনের ক্ষতি হোক, আমরা না হয় ভোট কম পেলাম, কিন্তু শিক্ষার্থীদের শিক্ষার্থীদের যেন ক্ষতি না হয়; সেদিকটা আমরা দেখেছি।
শিক্ষার্থীরা এখনো একটা ট্রমার মধ্যে আছে। ছাত্রদল হলে পোস্টার লাগিয়েছে, যা ব্যাকফায়ার করেছে। অন্যদিকে ছাত্রশিবির একসময় বলেছে, তারা ছাত্ররাজনীতি চায় না। পরে হলগুলোতে উঠে কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। অন্য কেউ উঠতে চাইলে তার বিরুদ্ধে মব করেছে। তারা স্বীকার করেছে, হলে হলে তাদের ছোট টিম আছে। এরপরই ছাত্রদল কমিটি দিয়েছে।
ফলে এখানে একটা সংকট রয়ে গেছে। আদতে কেউ শিক্ষার্থীদের কথা ভাবছে না। ৫ আগস্টের আগে আমরা কয়েকজন মানুষ ছিলাম। এখন তো অনেক বেশি। ফলে আমাদের মনোবল হারানোর কিছু নেই। ৫ আগস্টের পর আমরা একটি সুন্দর রাজনৈতিক কাঠামো দাঁড় করানোর কথা বলেছি।
বাংলানিউজ: আপনার বিরুদ্ধে নানা অপতথ্য সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো হয়েছে। এতে ভোটারদের কাছে আপনার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে কি না?
আব্দুল কাদের: এখানকার রাজনীতিটা কেমন হবে, তার জন্য আমরা লড়াই করছি। ফলে হয়তো ব্যক্তি পর্যায়ে আমি ব্যাশিংয়ের (আক্রমণাত্মকভাবে নিন্দা) শিকার হচ্ছি কিংবা নানা বিতর্ক হচ্ছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বোঝেন, কেন আমি তর্ক-বিতর্কে জড়াচ্ছি এবং কীসের জন্য।
দেখা গেল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে ছাত্রশিবিরের জনশক্তি আমাকে গালিগালাজ করেছে। বাবা-মায়ের নাম ধরে জামায়াতে ইসলামীর লোকেরা আমাকে গালিগালাজ করছে। তবে যে যাই বলুক, আমি শিক্ষার্থীদের স্বার্থেই করছি। হয়তো একটা ভালো ইমেজ রাখার জন্য আমি চুপ থাকতে পারতাম। কিন্তু আমি আমার নিয়তের জায়গায় সৎ আছি।
বাংলানিউজ: এ পর্যন্ত একাধিক আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এটি নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নষ্ট করছে কি না?
আব্দুল কাদের: প্রথম আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন ছাত্রদলের এজিএস প্রার্থী তানভীর বারী হামিম। পাঁচজনের বেশি নিয়ে মনোনয়নপত্র নেওয়ার সুযোগ না থাকলেও তিনি মিছিল নিয়ে মনোয়নপত্র নিতে গিয়েছেন এবং একটি আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করেছেন। তিনি শুধু এখানেই থেমে থাকেননি, চিত্র ধারণ করে নিজস্ব অ্যাকাউন্ট থেকে প্রচার করেছেন। তার মানে কেবল আচরণবিধি লঙ্ঘন নয়, বরং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে তিনি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছেন।
বিপরীতে তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অ্যাকশন নেয়নি। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কারো সঙ্গে আলোচনা না করেই মনোনয়ন সংগ্রহের সময় একদিন বাড়িয়েছে। অন্যদিকে ছাত্রশিবিরের জহুরুল হলের এক প্রার্থী শুনেছি এরইমধ্যে লিফলেট বানিয়ে রুমে পৌঁছে দিচ্ছেন। অর্থাৎ প্রশাসনকে ম্যানেজ করে যে যার মতো কাজ করার চেষ্টা করছেন। এটি অশনি সংকেত। শিক্ষার্থীদের প্রাধান্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাজ করা উচিত।
বাংলানিউজ: নির্বাচন পরিচালনায় আর্থিক ব্যয়ভার বহন করছেন কীভাবে? আপনাদের টাকার উৎস কী?
আব্দুল কাদের: প্রচার তো এখনো শুরু হয়নি। একটি নির্বাচন করতে খুব বেশি টাকা প্রয়োজনও হয় না। আমাদের অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী আছেন, যারা চান ক্যাম্পাসে একটি সুষ্ঠু ধারার রাজনীতি প্রতিষ্ঠা হোক। তাছাড়া আমাদের চলাফেরায় খুব আহামরি টাকা খরচ হয় না। এর বাইরে আমাদের অনেকে নিজের পকেটের টাকা খরচ করছেন।
বাংলানিউজ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কেন আপনাকে তাদের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত করবেন বলে মনে করেন?
আব্দুল কাদের: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কাকে বিবেচনা করবেন, এটি তাদের নিজস্ব বিষয়। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি শঙ্কার জায়গা আছে। তারা সেখানে আস্থা এবং একটা অভয়ের জায়গা চান।
আবার গণরুম-গেস্টরুম সংস্কৃতি ফিরে আসুক, তা তারা চান না। এমন পরিস্থিতিতে কে তাদের পাশে দাঁড়াবেন, তাকেই তারা খুঁজছেন। ২০১৯ সাল থেকে ছাত্রলীগ যাদের শিবির বা অন্যান্য ট্যাগ দিয়ে নির্যাতন করেছে, হিজাবের কারণে যারা হেনস্তার শিকার হয়েছেন, তাদের জন্য দাঁড়িয়েছি। জেল-জুলুম উপেক্ষা করেই সেটা করেছি। ৫ আগস্টের পর মনে হয়েছে, ক্যাম্পাসে কাজের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ফলে আমরা ক্যাম্পাসে থেকে গিয়েছি।
ক্যাম্পাসে আমি নিয়মিত শিক্ষার্থী। অন্য যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাদের ছাত্রত্ব তিন বছর আগে শেষ। শুধু ডাকসুতে নেতা হওয়ার জন্য তারা এমফিল করছেন। প্রতিদিনই তারা নতুন নতুন প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা অবশ্যই ৫ আগস্টের আগে এবং পরে কাদের পাশে পেয়েছেন, তা বিবেচনায় রাখবেন।
বাংলানিউজ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আপনার ভিশন কী?
আব্দুল কাদের: একজন ভিপির কাজের জায়গা খুবই সীমিত। শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়ার জায়গা সমুন্নত রাখা এবং সুযোগ-সুবিধার কথা বলাই মূল কাজ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সঙ্গে একটি মেলবন্ধন তৈরি করা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসে। তাদের দুর্বলতা হলো আর্থিক সংকট। ফলে একটি সিটের জন্য তাদের জিম্মি হয়ে পড়তে হয়, স্বপ্ন অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়ে যায়। যদি আমরা সেই সমস্যা সমাধান করে ‘এক শিক্ষার্থী, এক সিট’ চালু করতে পারি’ তাহলে তাহলে শিক্ষার্থীদের দুর্বলতাকে পুঁজি করে তাদের জিম্মি করার সুযোগ থাকবে না।
ভর্তির প্রথমদিনই যদি একজন শিক্ষার্থীর সিট নিশ্চিত হয়, তাহলে তার আর কোনো পিছুটান থাকবে না। দ্বিতীয়ত, আমরা বলেছি, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমূল পরিবর্তন চাই। আমূল পরিবর্তন করতে হলে এখানকার রাজনৈতিক কাঠামোর রূপটা কেমন হবে, তার একটা সুরাহা দরকার। ফলে আমাদের প্রথম কাজ হলো, ছাত্র রাজনীতির কাঠামোটা সুনির্দিষ্ট করা, রূপরেখাটা সুস্পষ্ট করা।
ছাত্র রাজনীতি যেহেতু ছাত্রদের কল্যাণের জন্যই, সেক্ষেত্রে ছাত্রদের সুযোগ-সুবিধা সেন্টিমেন্টের জায়গাটা মাথায় রেখে রাজনীতির পুরো কাঠামোটা আমরা সাজাবো। এটি একটি সামাজিক চুক্তি মতো হবে। এখানে ৫০ শতাংশ নারী শিক্ষার্থীর জন্য হল মাত্র পাঁচটি। নারী শিক্ষার্থীরা হয়রানির শিকার হন। মোরাল পুলিশিংয়ের শিকার হন। নারীদের অনলাইনে বুলিং করা হয়। এসব সমস্যার সমাধান করতে হবে।