Image description

বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্যবিষয়ক সম্পাদক ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল বলেছেন, সামনে খারাপ সময় আসছে, যদি নির্বাচন না হয়। এছাড়াও, নির্বাচন হয়ে গেলে যে সরকার গঠন হবে, সেটিকে দুর্বল করা হলে দেশের জন্য তা ক্ষতিকর হবে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টিভির টক শোতে তিনি এ কথা বলেন।

হেলাল বলেন, ‘নির্বাচন হলো।

 
যদি সরকারকে দুর্বল করে রাখা হয়, তাহলে আগামী দিনের উন্নয়ন এবং গণতন্ত্রকে বজায় রাখা কঠিন হয়ে যাবে। আমার মতে, নির্বাচন যত গুরুত্বপূর্ণ, আগামী সরকারও তত শক্তিশালী হওয়া দরকার। তা না হলে ভারতীয় প্রভাব এবং বাংলাদেশে যে সমস্ত অর্থনৈতিক ও সামাজিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে, সেগুলো মোকাবেলা করা কঠিন হবে।’

 

তিনি আরও বলেন, জামায়াত আজ বলেছে যে, ড. ইউনূসের নেতৃত্বে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।

 
তবে তারা একই সঙ্গে সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। অর্থাৎ, তাদের সন্দেহ রয়েছে যে, ড. ইউনূসের নেতৃত্বে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। “যে বয়ান শেখ হাসিনা এতদিন অখণ্ড ভারতের দিকে নিয়ে গেছেন, এখন সেটি জামায়াতের মাধ্যমে দেশে ছড়ানো হচ্ছে,” হেলাল বলেন।

 

জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে হেলাল বলেন, ‘আমরা ৭ আগস্ট থেকে বলছি, নির্বাচন হতে হবে।

 
নির্বাচনের কথা বলার সময় জামায়াত অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি সমর্থন দেখিয়েছিল। এখন, ড. ইউনূস গণতন্ত্রের পথে রোডম্যাপ ঘোষণা করছেন, তখন আমরা দেখি জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলন হতাশ। এ থেকে বোঝা যায়, তারা দেশে গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা চায় না এবং বর্তমান ক্ষমতা যেন দীর্ঘদিন ধরে থাকে, সেটিই তাদের লক্ষ্য। ২০-৩০টি আসন বাড়ালেও তাদের কোনো লাভ নেই। তাদের উদ্দেশ্য হলো দেশে অতিরিক্ত ক্ষমতা ধরে রাখা এবং দেশের ভবিষ্যতকে অস্থিরতার দিকে ধাবিত করা—এটাই জামাতের রাজনীতি।