Image description
 

ঢাকার কেরানীগঞ্জ ভূমি অফিসে চলছে প্রকাশ্য ঘুষ বাণিজ্য। পিয়ন থেকে শুরু করে কর্মকর্তা পর্যন্ত সবার বিরুদ্ধে ঘুষের লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। সেবা প্রত্যাশীদের অসহায়ত্বকে পুঁজি করে তৈরি হয়েছে এক সিন্ডিকেট। নামজারি, নাম সংশোধনী বা অন্যান্য সেবার জন্য আদায় করা হচ্ছে ১৫ হাজার থেকে শুরু করে কয়েক লাখ টাকা পর্যন্ত।

 

সাধারণ মানুষ বলছেন, অনলাইনে সেবা প্রদানের নিয়ম থাকলেও বাস্তবে পদে পদে ঘুষ না দিলে কোনো কাজ এগোয় না। ঘুষ না দিলে ফাইল বছরের পর বছর ঝুলে থাকে। একজন ভুক্তভোগী জানান, তিন বছর ধরে একটি মিসকেসের নিষ্পত্তি পাচ্ছেন না কেবল ঘুষ না দেওয়ার কারণে।

আইনজীবীরাও বলছেন, দরিদ্র মানুষ সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী। “টাকা হলে সেবা, টাকা না হলে কোনো সেবা নেই”—এই অবস্থার শিকার হচ্ছেন সাধারণ সেবা প্রত্যাশীরা।

 

তদন্তে উঠে এসেছে, অফিস সহকারী আজহারুল ইসলাম ঘুষ সিন্ডিকেটে জড়িত। বদলি হওয়া সত্ত্বেও আবারও ওই অফিসে যোগ দিয়ে ঘুষ বাণিজ্য শুরু করেছেন তিনি। তবে মুখোমুখি প্রশ্নে তিনি প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে দাবি করেন, ষড়যন্ত্র করে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে।

 

অন্যদিকে, দলিল লেখক সাইদুল ইসলামকেও ঘুষ বাণিজ্যে জড়িত হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অফিসের চেয়ার-টেবিল ব্যবহার করে কাজ করার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি দায় চাপান বহিরাগতদের ওপর।

অফিস সহকারী ও কম্পিউটার অপারেটর আব্দুল আলিম দীর্ঘদিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত বলে জানা গেছে। ফোনেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এসিল্যান্ড জানান, সেবা নিতে নাগরিকদের কোনো দালালের প্রয়োজন নেই। তিনি বলেন, “ভূমি সেবা এখন ঘরে বসেই নেওয়া সম্ভব। কেউ অপরাধ করলে তার ছাড় নেই। অভিযোগ এসেছে, তদন্ত চলছে। সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”