Image description

বান্দরানের নাইক্ষ্যংছড়ি থানাধীন ঘুমধুম এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া সেই অজ্ঞাত লাশের পরিচয় মিলেছে। একই সঙ্গে ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন এবং হত্যাকারী ৩ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (২০ আগস্ট) বান্দরবান জেলা পুলিশের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। 

 

নিহত ওই কিশোরের নাম নুরুল আবছার (১৭)। সে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রেজিস্টার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জি- ব্লকের বাসিন্দা নুরুল ইসলামের ছেলে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কুতুপালং ক্যাম্প-২/ইস্ট এর বি/৯- ব্লকের রোহিঙ্গা বাসিন্দা শফি আলম এবং একই ক্যাম্পের   বি/১০- ব্লকের বাসিন্দা ইমাম হোসেন (২০) ও আবুল হাশিম (৪৫)।

পুলিশ জানিয়েছে, নিহত নুরুল আবছার পেশায় অটোরিকশা চালক। গত ১৬ বিকেলে অটোরিকশা চালানোর জন্য বাসা থেকে বের হয় সে। কিন্তু রাত ১০টার পরেও সে ফিরে না আসায় এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল বন্ধ পাওয়ায় পরিবারের লোকজন তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করতে থাকে। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ১৭ আগস্ট নাইক্ষ্যংছড়ি থানাধীন ৩নং ঘুমধুম ইউপির ৬নং ওয়ার্ডস্থ আকিজ কোম্পানির কুমির খামারের পাশে ডাকবা পাড়া রাবার বাগান থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির গলাকাটা এবং পেটকাটা মৃতদেহ পাওয়া যায়। নাইক্ষ্যংছড়ি থানা পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়। মৃতদেহ উদ্ধার এবং সুরতহাল কার্যক্রম শুরু করে। খবর পেয়ে নিখোঁজ নুরুল আবছারের পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে মৃতদেহটি সনাক্ত করেন। 

এতে আরও বলা হয়েছে, এই ঘটনায় মামলা দায়েরের পর নাইক্ষ্যংছড়ি থানার একাধিক আভিযানিক টিম আসামিদের সনাক্ত, গ্রেপ্তার ও মামলার রহস্য উদঘাটনের কাজ শুরু করে। পরে কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ঘটনার ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৩ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানিয়েছে, তারা পরস্পর যোগসাজসে অটো চুরির উদ্দেশ্যে ১৬ আগস্ট সন্ধ্যায় কুতুপালং বাজার থেকে যাত্রীবেশে ভিকটিমের অটোতে উঠে।  গ্রেপ্তারকৃত ইমাম হোসেন নিজেকে তরকারি ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে রাবার বাগানের ভিতর থেকে বস্তাভর্তি তরকারি আনার কথা বলে ভিকটিমকে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসে। নির্জন স্থানে আসার পর ভিতর থেকে তরকারির বস্তা আনতে হবে বলে অটো থামায় এবং ৩ জন অটো থেকে নেমে আকষ্মিক ভিকটিমকে আঘাত করে মাটিতে ফেলে দেয়। পরে ২ জন ভিকটিমের হাত ও পায়ে ধরে রাখে এবং অপরজন ছুরি দিয়ে গলা কাটে। পরে পেটে পোঁচ দিয়ে ফেঁড়ে দেয় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে ভিকটিমকে হত্যা করে। এরপর ভিকটিমের অটো রিকশা নিয়ে উখিয়া চলে আসে তারা।