
জুলাই সনদকে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের দালিলিক ভিত্তি বলেই মনে করেন বিশ্লেষকদের অনেকে। এটি চূড়ান্ত করতে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে খসড়া প্রস্তাবনা।
খসড়ার পটভূমিতে উল্লেখ করা হয়েছে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র, পিলখানা ট্র্যাজেডি, শাপলা চত্বর হত্যাকাণ্ড এবং ২০১৮ সালের কোটা আন্দোলনসহ বিগত সরকারের গুম-খুন ও নির্যাতনের ঘটনা। কোন দল কোন বিষয়ে ঐক্যমত্য পৌঁছেছে উল্লেখ করা হয়েছে সেটিও।
অঙ্গীকারনামায় বলা হয়েছে, ঐকমত্যের ভিত্তিতে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের দলিল হিসেবে বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা হবে জুলাই জাতীয় সনদের। সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হবে এর বিধান-নীতি ও সিদ্ধান্ত। অন্য আইনে ভিন্ন কিছু থাকলেও প্রাধান্য পাবে, সনদের বিধান প্রস্তাব-সুপারিশ।
এ সংক্রান্ত যে কোনো প্রশ্নের চূড়ান্ত মীমাংসার এখতিয়ার দেয়া হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগকে। বৈধতা-প্রয়োজনীয়তা কিংবা জারির কর্তৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না কোনো আদালতে।
জুলাই সনদের সাংবিধানিক তথা রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির কথা বলা হয়েছে, অঙ্গীকারনামায়। হত্যাকাণ্ডের বিচার, রাষ্ট্রীয় মর্যাদা, শহীদ পরিবারকে সহায়তা প্রদান এবং আহতদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে খসড়ায়।
অবিলম্বে বাস্তবায়নযোগ্য বলে বিবেচিত হবে জুলাই সনদ। কালক্ষেপণ না করেই পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে যা পুরাপুরি বাস্তবায়ন করবে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
কয়েকদিনের মধ্যেই এই খসড়ার ওপর মতামত দিতে বলা হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোকে।