
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময় অর্থাৎ আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসের রোজা শুরু হওয়ার আগেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওই নির্বাচন পেছানোর মতো কোনো শক্তি দেশে নেই।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে মাগুরা পৌরসভার পারনান্দুয়ালী এলাকায় জুলাই আন্দোলনে শহীদ মেহেদী হাসান রাব্বি ও আল আমিনের কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
শফিকুল আলম বলেন, পুরো জাতি এখন নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। নির্বাচন কমিশনসহ সরকারের সব অঙ্গসংগঠন সম্মিলিতভাবে নির্বাচনকে সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে- এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। যারা সন্দেহের বীজ রোপণ করছেন, তাদের বলব- আপনারা থামুন। রোজা শুরু হওয়ার আগেই ভোট অনুষ্ঠিত হবে। ডিসেম্বর মাসেই তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন।
তিনি বলেন, তফসিল ঘোষণার আগে নির্বাচন আয়োজনের প্রয়োজনীয় সব কাজ দ্রুতই শুরু হবে।
দেশে বর্তমানে নির্বাচন আয়োজনের পরিবেশ আছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে করা সরকারের একটি দায়িত্ব। সরকার ও নির্বাচন কমিশন এ নিয়ে কাজ করছে। পাশাপাশি সামাজিক দায়িত্বও রয়েছে- সবাই মিলে একটি ভালো নির্বাচন করা। জেলা, উপজেলা, পাড়া-মহল্লা- সব জায়গায় এখন মানুষ নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে। দেশে নির্বাচনের আমেজটা যখন শুরু হবে আমি নিশ্চিত, কারও মনে যদি কোনোরকম সন্দেহ থাকে সেই সন্দেহ চলে যাবে।
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, জুলাই আন্দোলনের মূল আকাঙ্ক্ষা হচ্ছে সংস্কার। এই সংস্কারের কাজগুলো চলছে। আপনারা জানেন অনেকেই বলেছিল এই নির্বাচনের ডিক্লারেশন হবে কিনা সন্দেহ আছে, ডিক্লারেশন কিন্তু হলো। ঠিক তেমনিভাবেই সংস্কার আওতায় যে জুলাই চার্টার সেগুলো নিয়ে পলিটিক্যাল পার্টির সঙ্গে আলোচনা চলছে। আমরা নিশ্চিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এই আলোচনা একটি ভালো পর্যায়ে পৌঁছাবে। যার মাধ্যমে জাতি একটা ভালো শাসন ব্যবস্থা পাবে।