
চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানার এসআই আবু সাঈদ রানাকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ৭০ জনকে আসামি করে থানায় দুইটি মামলা দায়ের হয়েছে।
বুধবার পর্যন্ত এ ঘটনায় ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার অস্ত্র ও সন্ত্রাস দমন আইনে এই পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে ৩০ জন এজাহারনামীয় এবং অজ্ঞাত আসামি রয়েছে ৪০ জন।
বন্দর থানার ওসি আফতাব উদ্দিন বলেন, এসআই আবু সাঈদ রানাকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে। মামলার আসামিদের গ্রেফতারে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সর্বশেষ মঙ্গলবার আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার সংশ্লিষ্ট মামলায় তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এসআই রানার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে উন্নতির দিকে রয়েছে জানিয়ে ওসি বলেন, সন্ত্রাসীরা রানার মাথায়, ঘাড়ে ও হাতে এলোপাতাড়ি কুপিয়েছে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে নেওয়া হয়। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন। তবে তার অবস্থা আগের চেয়ে উন্নতির দিকে রয়েছে বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।
সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর বন্দর থানাধীন সল্টগোলা ক্রসিং ঈশান মিস্ত্রিঘাট খালপাড় এলাকায় ঝটিকা মিছিল বের করে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এই মিছিলের নেতৃত্ব দেন স্থানীয় যুবলীগ নেতা শাকিল। খবর পেয়ে বন্দর থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছলে ১০-১২ জন যুবক তাদের ধাওয়া করে। এ সময় অন্যরা সেখান থেকে পিছু হটলেও এসআই আবু সাঈদ রানা মাটিতে পড়ে যান। তখন ধারালো অস্ত্র দিয়ে পুলিশ সদস্য রানার মাথা, গলা, হাত ও পেটে উপর্যুপরি আঘাত করে আসামিরা। ঘটনার পরপরই অভিযান চালিয়ে ১৮ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।