
নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুয়েল সাংমার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছ থেকে লাঠি কেড়ে এক তরুণকে পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। পেটানোর একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
মারধরের শিকার দুর্জয় উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের শহিদ মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় দিনমজুর।
স্থানীয় বাসিন্দা, ইউএনও কার্যালয় ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গত ২৪ মার্চ দুপুরে বানিয়াজান ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিএফের চাল বিতরণ করা হয়।
এ ব্যাপারে বাদী রায়হান বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম। ইউএনও ওই দিন দুপুরে পুলিশ নিয়ে পরিষদে উপস্থিত হয়ে পুলিশের কাছ থেকে লাঠি নিয়ে দুর্জয়কে মারধর করে একপর্যায়ে ক্লান্ত হয়ে পড়ে যান।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী দুর্জয় বলেন, ‘আমার মা হুসনা আক্তার অসুস্থ । তাই আমি সেইদিন সাড়ে ১২টার সময় ভিজিএফের চাল আনতাম যাই। পরে লোকজনের ধাক্কায় পরিষদের সামনে দেওয়া বাঁশের বেড়া খুলে গেলে আমি সামনে গিয়া পড়ে যাই। এমন সময় ইউএনও স্যার আইয়া আমারে মারধর করে। পরে আমারে আটকাইয়া রেখে একটা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে ছাইড়া দিছে। আমি কোন চাল লুটপাট করার লোক না।’
জানতে চাইলে ইউএনও রুয়েল সাংমার জানান, ‘আমি কাউকে মারধর করিনি। এটা আমাকে নিয়ে বিভিন্ন মহলের চক্রান্ত চলছে। রমজানের ঈদের সময় কিছু বিশৃঙ্খল জনতা ভিজিএফের মালামাল লুট করে নিয়ে যাচ্ছিল। তখন কিছু উচ্ছৃঙ্খল জনতাকে আমরা ধরছি, ধরার পরে তারা আমার সাথে উদ্ধত আচরণ করে। আমি তো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য তাঁকে ক্যাপচার করেছি। ওখানে পুলিশ বা অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী থাকলেও তারা কোন পদক্ষেপ নিচ্ছিল না। তবে আমি কাউকেই কোন মারধর করিনি।’
পিবিআই ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. রকিবুল আক্তার বলেন, ‘এ রকম একটি বিষয় শুনেছি তবে আদালতের আদেশটি এখনো অফিসিয়াললি পাইনি।’
ময়মনসিংহ বিভাগী কমিশনার মো. মোখতার আহমেদ জানান, ‘গত রবিবার এ নিয়ে একটি ডাক ফাইল কার্যালয়ে এসেছে। বিষয়টি তদন্তের জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’