
ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাসিরনগরে বসত বাড়ি দখলকে কেন্দ্র করে বাবাকে হাত ও পায়ের রগ কেটে হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি ছেলে মাসুক মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। পরে তাকে নাসিরনগর থানা পুলিশের হাত তুলে দেওয়া হয়। সোমবার (১১ আগস্ট) রাতে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার হরিণখোলা বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় র্যাব-৯। ধনু মিয়াকে মারধরের ঘটনায় গত ৩০ জুলাই মামলা হলে ছায়া তদন্ত শুরু করার পাশাপাশি গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে সোমবার রাত সোয়া সাতটার দিকে অভিযান চালিয়ে মাসুক মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধন মিয়ার (৭৮) দুই স্ত্রী। প্রথম স্ত্রীর ঘরে পাঁচ ছেলে ও এক মেয়ে এবং দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরে দুই ছেলে ও তিন মেয়ে। সাত ছেলেকে আলাদা করে বাড়ি ও সম্পত্তি বুঝিয়ে দেন ধন মিয়া। কিন্তু প্রথম স্ত্রীর কয়েকজন ছেলে বাড়ির সামনের একটি জমি নিজেদের নামে নিতে ধন মিয়াকে চাপ দিতে শুরু করে। তিনি রাজি না হওয়ায় গত ২৬ জুলাই কথাকাটাকাটির জেরে ছেলে মাসুক ও তার কয়েকজন সহযোগী ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ধন মিয়ার এক হাত ও এক পায়ের রগ কেটে দেয়। । স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় গত ৩০ জুলাই নাসিরনগর থানায় মামলা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের ট্রমা সার্জন মো. সোলায়মান মিয়া বলেন, ওই বৃদ্ধের হাত ও পায়ের একাধিক হাড় ভেঙে গেছে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে একটি হাত ও একটি পায়ের রগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
র্যাব-৯ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ধন মিয়াকে মারধরের ঘটনায় গত ৩০ জুলাই মামলা হলে ছায়া তদন্ত শুরু করার পাশাপাশি গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে সোমবার রাত সোয়া সাতটার দিকে অভিযান চালিয়ে মাসুক মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।