
মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেছেন, 'আমরা যদি সংস্কার কমিশনগুলো দেখি, সেখানে নারী প্রতিনিধির অবস্থা আমরা সবাই জানি। আর আমাদের ঐকমত্য কমিশনের কথা তো বাদ দিলাম, আর কী বলব সেটা বলার কিছু নেই। এটা একটা বয়েজ ক্লাব।'
আজ শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে 'জাতীয় সংসদে নারী আসন ও নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন' শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে প্রথম আলো। এতে সংসদে নারী আসন নিয়ে ধারণাপত্র তুলে ধরেন প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক নাজনীন আখতার।
সব জায়গায় নারীদের বাদ দেওয়ার এবং একটু পিছিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন শাহীন আনাম। তিনি বলেন, নারীর প্রতি বৈষম্যগুলো এই সরকার বিবেচনায় নেবে বলে আকাঙ্ক্ষা ছিল। কিন্তু সেটা মোটেও হয়নি।
শাহীন আনাম আরও বলেন, 'নারী সংস্কার কমিশন নিয়ে যেভাবে কথা বলা হলো, যেভাবে তাঁদের অপমান করা হলো প্রকাশ্যে এই সরকার একটা টুঁ শব্দ করে নাই। এটা আমাদের খুবই আঘাত করেছে। আসলে আমাদের সমাজে নারীর স্থান কোথায়।'
মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, ‘যখনই সমান অধিকারের কথা বলি তখনই একটা হুংকার আসে। অনেক দিন ধরে সরাসরি নির্বাচনের কথা বলা হচ্ছে। এখন যে ৫ শতাংশ দেওয়ার কথা বলছে তা হাস্যকর।’ শুধু রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলে নারীদের সম্পর্কে কেন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সে প্রশ্নও তোলেন।

গোলটেবিল বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক সুমনা শারমীন। এতে অংশ নিয়েছেন, নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরীন পারভীন হক, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, নিজেরা করির সমন্বয়কারী খুশী কবির, নারীপক্ষের সভানেত্রী গীতা দাস, গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার, স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের সদস্য ইলিরা দেওয়ান, জুলাই আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ও শিক্ষার্থী নাজিফা জান্নাত।