
পটুয়াখালীর বাউফলে চাঁদাবাজির করার সময় এক বিএনপি নেতার ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উপজেলার কালিশুরী বানিজ্যিক বন্দরে ব্যবসায়ীদের কাছে টাকা চাইতে গেলে হাসান শিকদারকে আটক করেন যৌথবাহিনীর সদস্যরা। শুক্রবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা বলেন, উপজেলার কালিশুরি ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি চুন্নু শিকদারের ছেলে হাসান। গত বছরের ৫ আগস্টের পর বাবার পরিচয়ে চাঁদাবাজি শুরু করেন হাসান। ধীরে ধীরে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পান না। এছাড়া তার বিরুদ্ধে ভয়ভীতি দেখিয়ে জমিসহ বিভিন্ন সম্পদ দখল ও মানুষকে হয়রানির অভিযোগ আছে, কিন্তু তার বিরুদ্ধে মামলা করতে পারেনি কেউ।
কালিশুরী বন্দরের ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সদস্যরা বলেন, হাসান সম্প্রতি কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাঁদা দাবি করেন। বিষয়টি স্থানীয় গ্রামপুলিশ বেলায়েত হোসেনকে জানানো হয়। তিনি তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করতে গেলে তাকে মারধর করেন এই যুবক। পরে শাহিন শিকদার নামের এক ব্যবসায়ীর দোকান ঘর নির্মাণে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের দেখিয়ে তার কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করেন হাসান।
ভুক্তভোগী বিষয়টি বাউফলের অস্থায়ী সেনা ক্যাম্পে জানান। তার লিখিত অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালায় যৌথবাহিনী। এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার রাতে কালিশুরী বাজার থেকে তাকে হাতেনাতে আটক করা সম্ভব হয়।
ভুক্তভোগী গ্রামপুলিশ বেলায়েতের কাছে তাকে মারধরের বিষয়ে জানতে ফোন করা হলে তিনি মুখ খুলতে রাজি হননি। পরে জানা যায়, চাঁদাবাজ হাসানের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিলে জামিনে বেরিয়ে তিনি আবার মারধর করতে পারেন, এই ভয়ে সাংবাদিকদের কিছু জানাননি বেলায়েত।
এ বিষয়ে বাউফল থানার ওসি আকতারুজ্জামান সরকার বলেন, হাসানকে চাঁদাবাজির অভিযোগে সেনাবাহিনী আটক করেছে। তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়া হাসানের বাবা বিএনপি নেতা চুন্নুকে থানায় ডাকা হয়েছিল। তিনি তার ছেলের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন।