Image description

ঐকমত্যের সংলাপে ২০ মৌলিক সংস্কারের সিদ্ধান্তের আটটিতে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি। বিএনপি চারটি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে রাজি নয়। তিনটিতে নোট অব ডিসেন্টসহ (আপত্তি) একমত হয়েছে দলটি। জামায়াতে ইসলামী একটি সিদ্ধান্তে রাজি নয়। তিনটিতে আপত্তিসহ একমত তারা। অন্যদিকে এনসিপি ১৮ সিদ্ধান্তে একমত। কিন্তু ৭ শতাংশ আসনে নারীর সরাসরি মনোয়নের সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়ে নবগঠিত দলটি ১৫ শতাংশ নারী প্রার্থীর প্রস্তাব করেছে। 

বিএনপি প্রস্তাব করেছিল, এক ব্যক্তি জীবনে ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকতে পারবেন না। এ সিদ্ধান্তে সব দল একমত হয়েছে। এমপিদের গোপন ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে একমত হয়নি ইসলামী আন্দোলন। দলটি প্রত্যক্ষ ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন চায়। বাকি দলগুলো এ প্রস্তাবে একমত। গণঅধিকার, এবি পার্টি, এলডিপি, গণসংহতি আন্দোলন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, নাগরিক ঐক্য, জেএসডি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, খেলাফত মজলিসসহ কয়েকটি দলও সংস্কারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তে রাজি হয়নি কিংবা আপত্তিসহ একমত হয়েছে। ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, লেবার পার্টি, এনডিএমের অবস্থান বিএনপির মতোই। 

সংবিধানের মূলনীতিতে সিপিবি, বাংলাদেশ জাসদ, বাসদসহ কয়েকটি দল রাজি হয়নি। সে হিসেবে ৯টি সিদ্ধান্তে ঐকমত্য হয়নি। বাকি ১১ সিদ্ধান্তে ঐকমত্য হয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের সঙ্গে অন্যান্য সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে সিদ্ধান্ত যুক্ত করায়, ঐকমত্য কমিশনের হিসাবে সিদ্ধান্তের সংখ্যা ১৯। 
দু’একদিনের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোকে জুলাই সনদের চূড়ান্ত খসড়া দেওয়ার কথা রয়েছে। এতে থাকবে কোন সিদ্ধান্তে দলগুলোর ঐকমত্য হয়েছে। কোন সিদ্ধান্তে দলগুলো আপত্তিসহ একমত হয়েছে।

সনদ চূড়ান্ত হলে তা বাস্তবায়নের অঙ্গীকারসহ সই করার কথা রয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর। সনদে বলা থাকবে, কী কী সংস্কার কীভাবে হবে। খসড়ায়  ৭ দফা অঙ্গীকার রয়েছে। দ্বিতীয় দফায় সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, পুলিশ এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সংস্কারে যেসব সুপারিশে ঐকমত্য হয়েছে সেগুলো বাস্তবায়নের অঙ্গীকার রয়েছে। খসড়ায় বলা হয়েছে, এর জন্য সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংশোধন, পরিমার্জন, পুনর্লিখন এবং আইন, বিধিবিধানেও অনুরূপ পরিবর্তন করা হবে। আগামী সংসদ নির্বাচনে গঠিত সরকার তা দুই বছরের মধ্যে বাস্তবায়ন করবে। 

বিএনপি এতে একমত হলেও সনদের আইনি ভিত্তি না দিলে সই না করার হুমকি দিয়েছে জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন, এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদসহ অন্তত ১৫টি দল। এ দলগুলো নির্বাচনের পরে নয়, বর্তমান সরকারের অধীনেই ভোটের আগে সংস্কার চায়। তাই সংলাপ হলেও সনদের বাস্তবায়ন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে শিগগির সনদের চূড়ান্ত রূপ দেওয়া হবে। 

চার সিদ্ধান্তে রাজি নয় বিএনপি, তিনটিতে ভিন্নমত 
ভোটের অনুপাতে (পিআর) পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষ গঠন; প্রধানমন্ত্রীর একাধিক পদ না থাকা; দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি), মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) এবং ন্যায়পাল নিয়োগে সাংবিধানিক কমিটি গঠনের যেসব  সিদ্ধান্ত ঐকমত্য কমিশন দিয়েছে, তা বাস্তবায়নে রাজি নয় বিএনপি। নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগে সংসদীয় বাছাই কমিটি গঠনে একমত হলেও র‌্যাঙ্ক চয়েজ ভোটের সিদ্ধান্ত মানবে না তারা। বিএনপি জানিয়েছে, জুলাই জাতীয় সনদে সই করলেও ক্ষমতায় গেলে রাজি নয় এমন সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ন করবে না তারা।   

সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংস্কারে ঐকমত্য কমিশনের প্রাথমিক প্রস্তাব ছিল, অর্থবিল বাদে বাকি সব বিষয়ে এমপিরা স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারবেন। বিএনপি প্রস্তাব করে, আস্থা ভোট, সংবিধান সংশোধন বিল এবং জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নেও এমপিরা দলীয় সিদ্ধান্তে ভোট দেবেন। এই প্রস্তাবে বিএনপি নোট অব ডিসেন্টসহ একমত হয়েছে। তারা জানিয়েছে, দলের প্রস্তাব আগামী নির্বাচনের ইশতেহারে রাখা হবে। বিএনপি ভোটে জয়ী হলে, এই চার বিষয় বাদে বাকি বিষয়ে এমপিরা স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারবেন। 

কমিশনের প্রস্তাব ছিল, আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারককে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি। বিএনপি এতে নোট অব ডিসেন্ট দিয়ে জানিয়েছে, জ্যেষ্ঠতম দুই বিচারকের একজনকে নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি। 

কমিশনের প্রস্তাব ছিল, প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ ছাড়াই রাষ্ট্রপতি ১২টি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দিতে পারবেন। তিন বাহিনীর প্রধান, ডিজিএফআইর মহাপরিচালক, এনএসআইর মহাপরিচালক, অ্যাটর্নি জেনারেল, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর পদে নিয়োগে রাষ্ট্রপতিকে একচ্ছত্র ক্ষমতা দিতে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ কোনো দলই রাজি হয়নি। 

পরে কমিশন সিদ্ধান্ত দেয়, মানবাধিকার কমিশন, তথ্য কমিশন, প্রেস কাউন্সিল, আইন কমিশন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন এবং বিটিআরসিতে নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি। বিএনপি প্রথম চারটি প্রতিষ্ঠানের নিয়োগের ক্ষমতা রাষ্ট্রপতিকে দিতে রাজি হয়েছে। পরের তিনটি কমিশনের নিয়োগের ক্ষমতা রাষ্ট্রপতিকে দেওয়ার সিদ্ধান্তে নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছে।  

জামায়াত নারীদের সরাসরি নির্বাচনে রাজি নয় 
কমিশনের ১৬টি সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত হয়েছে জামায়াত। সরাসরি নির্বাচনে নারীদের দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার বাধ্যবাধকতায় রাজি হয়নি। কমিশনের সিদ্ধান্ত, আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে ৭ শতাংশ আসনে নারী প্রার্থী মনোনয়ন দিতে আহ্বান থাকবে। পরের নির্বাচনে তা আরও ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। তখন সংবিধান সংশোধন করে নারী প্রার্থী মনোনয়নের বাধ্যবাধকতা তৈরি করা হবে। জামায়াত জানিয়েছে, তারা সংসদে নারী আসন বৃদ্ধি করে ১০০ করতে রাজি। তবে আসন বণ্টন হতে হবে পিআর পদ্ধতিতে। 

জামায়াত আপত্তিসহ একমত হয়েছে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ শিথিল, প্রধানমন্ত্রীর একাধিক পদ গ্রহণ না করা এবং সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির নিয়োগের ক্ষমতার সিদ্ধান্তে। ৭০ অনুচ্ছেদের সিদ্ধান্তে নোট অব ডিসেন্ট দিয়ে জামায়াত বলেছে, এমপিরা আস্থা ভোট এবং সংবিধান সংশোধনে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে ভোট দিলে সদস্য পদ বাতিল হবে। 

কমিশনের প্রস্তাব ছিল, প্রধানমন্ত্রী দলীয় প্রধান এবং সংসদ নেতার পদে থাকতে পারবেন না। বিএনপি এ সিদ্ধান্তে রাজি হয়নি। জামায়াত নোট অব ডিসেন্ট দিয়ে জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী দলীয় প্রধানের পদে থাকতে পারবেন না। তবে সংসদ নেতা পদে থাকতে পারবেন। 

এনসিপি নারী প্রতিনিধিত্ব বেশি চায়, অন্যদের নানা মত 
কমিশনের ১৮ সিদ্ধান্তে একমত এনসিপি। দলটির নোট অব ডিসেন্ট রয়েছে ৭০ অনুচ্ছেদ সংস্কারে। তারা জানিয়েছে, এমপিরা আস্থা ভোট দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে দিতে পারবেন না। ৭ শতাংশ আসনে নারীদের মনোনয়নের সিদ্ধান্তেও আপত্তি জানিয়েছে এনসিপি। দলটি প্রস্তাব করেছে, অন্তত ১৫ শতাংশ আসনে নারীদের মনোনয়ন দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকতে হবে। 

২৭টি দল সংসদের উচ্চকক্ষ গঠনে রাজি হলেও সিপিবি, বাসদ, জমিয়ত একমত হয়নি। সংবিধানের মূলনীতিতে সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার যুক্ত করতে রাজি হয়নি সিপিবি, বাসদ, বাংলাদেশ জাসদ। নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছে গণফোরাম, মার্কসবাদী বাসদ, জেএসডিসহ কয়েকটি দল। বিএনপি, জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন জানিয়েছে, তারা ক্ষমতায় গেলে মূলনীতিতে ‘আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনর্বহাল করবে। 

এলডিপি, লেবার পার্টি, ১২ দলীয় জোট, সমমনা জাতীয় জোট, এনডিএম, জমিয়ত, খেলাফত মজলিস, খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, ইসলামী ঐক্যজোট, নেজামে ইসলামী পার্টিও একই অবস্থান জানিয়েছে। নারী আসন বৃদ্ধি এবং সরাসরি মনোনয়নে রাজি নয় ইসলামী আন্দোলনসহ ছয় ধর্মভিত্তিক দল। 

পিআরসহ তিন সিদ্ধান্তে বেশি বিরোধ 
সংলাপে সবচেয়ে বেশি বিতর্ক হয়েছে পিআর পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষ গঠন, সংবিধান সংশোধনে উচ্চকক্ষেও দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার বিধান এবং প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা খর্বের সিদ্ধান্তে। জামায়াত, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলনসহ ২১ দল একমত হওয়ায় কমিশন সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে পিআরের সিদ্ধান্ত দেয়। বিএনপিসহ পাঁচটি দল এতে রাজি হয়নি।  বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ সমকালকে বলেছেন, পিআর এবং উচ্চকক্ষে সংবিধান সংশোধনের এখতিয়ার দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। বিএনপি এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে না। 

সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগে সাংবিধানিক কমিটি গঠনের সিদ্ধান্তেও তুমুল বিতর্ক হয়েছে। বিএনপি এবং সমমনা দলগুলো প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে সাংবিধানিক কমিটি গঠনে দীর্ঘ আলোচনার পর একমত হয়েছে। তবে দুদক, পিএসসি, সিএজি এবং ন্যায়পাল নিয়োগে সাংবিধানিক কমিটি গঠনে রাজি নয়। 

বিএনপি ও সমমনা ছয়টি দল বলেছে, এসব প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের আইন শক্তিশালী করতে হবে। তবে সংবিধানে রাখা যাবে না। কারণ, এর মাধ্যমে নির্বাহী বিভাগ তথা প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা খর্ব হবে। বিএনপির অবস্থান এই চার প্রতিষ্ঠানের নিয়োগের ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ারে থাকতে হবে। সালাহউদ্দিন সমকালকে বলেছেন, নইলে রাষ্ট্রের ভারসাম্য থাকবে না। নির্বাহী বিভাগকে দায়িত্বের সঙ্গে ক্ষমতাও দিতে হবে। 

জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের সমকালকে বলেছেন, সংস্কারের উদ্দেশ্যই  ক্ষমতার ভারসাম্য ও নিয়ন্ত্রণ, যাতে আর স্বৈরাচার তৈরি না হয়। তাই সংবিধানের সুরক্ষায় পিআর পদ্ধতি এবং উচ্চকক্ষে সংবিধান সংশোধনের ক্ষমতা থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণে দুদক, পিএসসি, সিএজিকে স্বাধীন করতে হবে। 

এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন সমকালকে বলেছেন, আমরা সংস্কারের সব সিদ্ধান্তেই একমত। নারী প্রতিনিধিত্বে আমাদের আপত্তি ইতিবাচক। নারী প্রতিনিধিত্ব সাত থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বাছাই কমিটিতে নিয়োগ সম্ভব না হলে, র‍্যাংক চয়েজ (পছন্দক্রম) ভোটে হতে হবে। নিয়োগ পদ্ধতি আগামী সংসদে নির্ধারণ হলে, সরকারি দল তত্ত্বাবধায়ককে আবার কুক্ষিগত করতে চাইবে। এতে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতার পালাবদল না হয়ে দেশ আবার বিশৃঙ্খলায় পড়বে। 

যেসব বিষয়ে ঐকমত্য
এক ব্যক্তি জীবনে ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকতে পারবেন না,  স্বাধীন পুলিশ কমিশন, জরুরি অবস্থা জারিতে বিরোধী নেতার সম্পৃক্ততা, মৌলিক অধিকার সম্প্রাসরণ, নির্বাচন কমিশন গঠনে সাংবিধানিক কমিটি, সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণে সাংবিধানিক কমিটি, সংবিধানের ৮, ৪৮, ৫৬ এবং ৫৮ (ক) অনুচ্ছেদ সংশোধনে গণভোট, গোপন ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, রাষ্ট্রপতির ক্ষমার ক্ষমতা সীমিত করে আইন প্রণয়ন, বিচার বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণ করে বিভাগীয় পর্যায়ে হাইকোর্ট বেঞ্চ এবং উপজেলায় আদালত স্থাপনসহ ১১টি সিদ্ধান্তে সব দল একমত হয়েছে।