
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশে নামানো হয়েছে—তবে এই সুবিধা আদায়ে কোনো ধরনের গোপন চুক্তি করা হয়নি বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা। ওয়াশিংটনে এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, এই বাণিজ্য চুক্তি নির্বাচিত সরকার চাইলে বাতিলও করতে পারবে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এ আলোচনা নিয়ে দুই দেশই গুরুত্ব দিয়েছে জাতীয় স্বার্থ, বাণিজ্য ভারসাম্য ও নিরাপত্তার বিষয়গুলোতে। পরপর কয়েক দফা দরকষাকষির পর চুক্তিতে পৌঁছায় ঢাকা ও ওয়াশিংটন।
আলোচনায় অংশ নেওয়া নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান জানান, প্রয়োজন না থাকায় লবিস্ট নিয়োগ করা হয়নি। তবে মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশ বাংলাদেশকে সহযোগীতা করেছে। তার ভাষায়, “ভারত কিংবা কানাডাও এখনও এই সুবিধা পায়নি— অথচ ওদের লবিস্টের অভাব নেই। এই ধরনের আলোচনা লবিস্ট দিয়ে হয় না।”
আর বাণিজ্য উপদেষ্টা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ বোয়িং বিক্রির চেয়ে কৃষিপণ্যে বেশি। দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কোনো গোপন চুক্তি করা হয় নি। নির্বাচিত সরকার এসে চাইলে এ চুক্তি বাদ দিতে পারে।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সম্মতি সাপেক্ষে আমরা এই চুক্তি প্রকাশ করবো। বিষয়টা দুঃখজনক হলেও আমাদের চুক্তি আগেই ফাঁস হয়ে গিয়েছিল, তবে সেখানে কিন্তু দেশের স্বার্থ বিরোধি কোন কিছুই নেই। যেগুলো পরোক্ষভাবে দেশের স্বার্থ বিরোধি হতে পারে সেগুলো আমরা আলোচনার মাধ্যমে বাতিল করে দিয়েছি।
শুল্কচুক্তি নিয়ে যৌথ বিবৃতি আসতে পারে বলেও জানান বাণিজ্য উপদেষ্টা।