
বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের রিজার্ভে থাকা স্বর্ণ ও রূপার পরিমাণ ও মূল্য প্রকাশ করেছে। ব্যাংকের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বর্তমানে রিজার্ভে মোট ৪১৮ কোটি ৮৯ লাখ ৪২ হাজার টাকার মূল্যমানের মূল্যবান ধাতু রয়েছে। এর মধ্যে স্বর্ণের পরিমাণ ৪১০ কোটি টাকা এবং রূপার পরিমাণ ৮ কোটি টাকা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রয়েছে ২১ হাজার ৫৬৬টি স্বর্ণের বার, যার মোট ওজন ২ হাজার ৬১১ কেজি ৪৭৯ গ্রাম ৯৯০ মিলিগ্রাম। এসব স্বর্ণের ক্রয়মূল্য ৪১০ কোটি ৬৪ লাখ ৮১ হাজার ৩১৩ টাকা ৭৫ পয়সা। এছাড়া রিজার্ভে আছে ৪১২টি রূপার বার, যার ওজন ৫ হাজার ২৪৮ কেজি ৩৬ গ্রাম এবং ক্রয়মূল্য ৮ কোটি ২৪ লাখ ৬১ হাজার ৫৬০ টাকা ৫৩ পয়সা।
বিশ্বব্যাপী কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে হেজ হিসেবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে সোনা সংরক্ষণ করে থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য উত্তেজনা ও বড় অর্থনীতির দেশগুলোর রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বিশ্ববাজারে স্বর্ণের চাহিদা বাড়িয়ে দিয়েছে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের মূল্যবান ধাতুর রিজার্ভ জাতীয় সম্পদের দৃষ্টিকোণ থেকে ইতিবাচক। তবে দীর্ঘমেয়াদে এই প্রবণতা বজায় রাখতে বৈচিত্র্যপূর্ণ ও কৌশলগত রিজার্ভ ব্যবস্থাপনা জরুরি।
এদিকে, বিশ্ববাজারে স্বর্ণের চাহিদা বাড়তে থাকায় চলতি বছরের বাকি সময়েও স্বর্ণের দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল (ডব্লিউজিসি)।
সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডলারের বিনিময় হার কমে যাওয়া, ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা, বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর স্বর্ণ কেনা বৃদ্ধিই মূল্যবৃদ্ধির পেছনে প্রধান কারণ। অর্থনৈতিক স্থবিরতা বা মন্দার ঝুঁকি বাড়লে স্বর্ণের চাহিদা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন