Image description
 

কুমিল্লার মুরাদনগরে থানা ভাঙচুর এবং ছাত্র সমন্বয়কের ওপর হামলার ঘটনায় ৭ বিএনপি নেতাকর্মীর ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর এবং ৬ নেতাকর্মীকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

 

 

বুধবার বিকালে পৃথক দুটি মামলায় কুমিল্লার ১১ নাম্বার আমলি আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মমিনুল হক এ আদেশ দেন।

 

এ সময় রিমান্ড শুনানিকালে অভিযুক্ত নেতাকর্মীরা আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।

 

এর আগে ২৭ জুলাই ওই ১৩ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

 

পুলিশ এবং আদালত সূত্র জানায়, গত ২৫ মার্চ জেলার মুরাদনগর থানায় ভাঙচুর এবং ছাত্র সমন্বয়ক ওবায়দুল হকের ওপর হামলার অভিযোগে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়কসহ ৩২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়। এতে অজ্ঞাতনামা আরও ৭০ থেকে ৮০ জনকে আসামি করা হয়। এ সময় পুলিশ ৬ জনকে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করেন। বাকিরা উচ্চ আদালত থেকে অস্থায়ী জামিন নেন।

 

উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুসারে রোববার বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের ১৩ নেতাকর্মী দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিন আবেদন করেন। এ সময় ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ আবেদা খাতুন জামিন নামঞ্জুর করে মুরাদনগর উপজেলার নবীপুর পূর্ব ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রুহুল আমিন তুহিন, নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হেদায়েত হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ রানা, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক আহমেদ বাদশা, উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নাজিম উদ্দিন, উপজেলা শ্রমিক দল নেতা মুজিবুর রহমানসহ ১৩ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। 

 

বিএনপির আইনজীবী অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন সরকার জানান, পুলিশ বিএনপির ১৩ নেতাকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত ৭ জনকে ১ দিনের রিমান্ড এবং ৬ জনকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন।