
চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার আবদুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান (রিয়াদ) পুলিশের সংস্কার কমিশনের সদস্য ছিলেন বলে দাবি করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্যসচিব মাহিন সরকার। রোববার (২৭ জুলাই) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে তিনি এ তথ্য জানান।
শনিবার (২৬ জুলাই) রাতে গুলশানের ৩৬ নম্বর রোড থেকে রাজ্জাকসহ পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ। অভিযোগ অনুযায়ী, তারা সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে তারা হাতেনাতে ধরা পড়েন। সবাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
মাহিন সরকার তার স্ট্যাটাসে লেখেন, রাজ্জাক পুলিশের সংস্কার কমিশনের সদস্য ছিলেন, অর্থাৎ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে তালিকাভুক্ত। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব এবং এমন জায়গায় তাকে কীভাবে সুপারিশ করা হলো, তা খতিয়ে দেখা জরুরি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরও লেখেন, একই ঘটনায় অভিযুক্ত জানে আলম অপু সম্পর্কে আগে থেকেই দুর্নীতির নানা অভিযোগ ছিল। এছাড়া ইব্রাহিম হোসেন মুন্নাও এ ঘটনায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন বলে তিনি দাবি করেন।
মাহিন বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ব্যবহার করে যেভাবে তারা কর্মকাণ্ড চালিয়েছে, তাতে এই ব্যানারটির আর প্রয়োজন আছে বলে তিনি মনে করেন। তার ভাষায়, যদিও এ ব্যানার প্রতিষ্ঠায় আমারও ভূমিকা ছিল, তবুও এখন সেটি তুলে নেওয়ার সময় এসেছে।
চাঁদাবাজির ঘটনায় গ্রেপ্তারদের মধ্যে রয়েছেন— রিয়াদ, জানে আলম অপু, সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব, ইব্রাহিম হোসেন মুন্না এবং ১৩ বছর বয়সী এক কিশোর। সংগঠন থেকে পাঁচজনকেই স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে সংশ্লিষ্ট দুটি ছাত্র সংগঠন।
মাহিন সরকারের মতে, রিমান্ডে এনে প্রকৃত কুশীলবদের চিহ্নিত করা এখন জরুরি। কারণ এ ঘটনা একটি ঐতিহাসিক ছাত্র আন্দোলনের ভাবমূর্তিকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।