Image description

আমার ছেলে ব্রিলিয়ান্ট স্টুডেন্ট, পুরো কলেজে ফার্স্ট হয়। আমার ছেলে সবচেয়ে স্মার্ট— এটুকু বলেই ডুকরে কেঁদে উঠলেন মোহাম্মদ ইউসুফ। মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের এই শিক্ষকের একমাত্র ছেলে সায়ান বিধ্বস্ত বিমানের আগুনে পুড়ে পাড়ি জমিয়েছেন না ফেরার দেশে। 

মোহাম্মদ ইউসুফ মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরের ক্যাম্পাসে ক্লাস নেন।

আর ছেলে সায়ান দিয়াবাড়ি ক্যাম্পাসে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ত। গতকাল বিকেলে খবর পান, ছেলে দগ্ধ হয়ে বাংলাদেশ মেডিকেলে ভর্তি, সেখান থেকে আনা হয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আইসিউতে। সায়ানের শরীরের ৯৫ শতাংশই পুড়ে গিয়েছিল। রাত ৩টা ৫০ মিনিটে মারা যান সায়ান।

রাত গড়িয়ে সকাল হয়, কিন্তু বাবার কান্না থামেনি। কান্নাজড়িত কণ্ঠে মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘এটা কোনো দেশ হলো বলেন। লোকালয়ের ওপর দিয়ে কেন একটি ট্রেনিং বিমান চলবে, বলেন। এ দেশে কোনো মানুষের নিরাপত্তা নেই।

এ কারণে আমি আর এ দেশে থাকবো না। আমার পুরো ফ্যামিলি এ দেশ থেকে চলে যাবো।’

ছেলের স্মৃতিচারণ করে ফের কেঁদে ওঠেন এই বাবা। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে ব্রিলিয়ান্ট স্টুডেন্ট, পুরো কলেজে ফার্স্ট হয়। আমার ছেলে সবচেয়ে স্মার্ট।

... এদেশের পলিটিশিয়ানরা এদেশটাকে পলিউট করে ফেলছে। আমরা থাকবো না এই দেশে।’

স্বজনরা জানান, এই শিক্ষক দম্পতির দুই সন্তানের মধ্যে বড় ছিল সায়ান। ছোট মেয়েও মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়ত, তবে সে নিরাপদে রয়েছে।