
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে ঘিরে সংঘর্ষে নিহত তিনজনের লাশ আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা হচ্ছে।
গোপালগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবু সাঈদ মো. ফারুক গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আদালতের চিঠিটি (সোমবার) সকালে পেয়েছি। এতে কালকের (২০ জুলাই) তারিখ ও সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতের আদেশের কথা লেখা আছে’।
যে তিন জনের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হচ্ছে, তারা হলেন- রমজান কাজী, সোহেল রানা ও মো. ইমন তালুকদার।
গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ময়না তদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করেছেন।
তার ভাষায়, ‘যেহেতু এখানে মামলা রুজু হয়েছে, তাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিজ্ঞ আদালতের কাছে আবেদন করেছেন। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত আদেশ দিয়েছে। গতকালকে এ আদেশ দিয়েছে বিজ্ঞ আদালত।’
সোমবার গোপালগঞ্জের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। গত বুধবার সহিংসতার ঘটনায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও সাতজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘কারফিউ ও ১৪৪ ধারা জারি নাই। পরিস্থিতি শান্ত, স্বাভাবিক রয়েছে। মানুষজন অফিস-আদালত, বাজারঘাট, স্কুল-কলেজে যাচ্ছে’।
তিনি জানান, বুধবারের পর মোট ৩১৩ জনকে আটক করা হয়েছে। তবে সহিংসতা, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলাসহ বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির ঘটনায় সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় বেশ কয়েকজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।