Image description
প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে-তালিকায় ফ্যাসিস্ট আমলারা

প্রশাসনে চূড়ান্ত পর্যায়ে পদোন্নতির প্রক্রিয়া রয়েছে। এ পদোন্নতির প্রক্রিয়ায় ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলাও পাচ্ছেন পদোন্নতি। অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে ফ্যাসিজমের প্রেতাত্মারা এখনো অবস্থান করছে। প্রশাসনে গুরুত্বর্পূণ মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে অন্তর্বকালীন সরকারকে পরিচালনা করছেন ফ্যাসিবাদী সরকারের নিয়োগ পাওয়া আমলারা। প্রশাসনে থাকা ফ্যাসিবাদের দোসররা বসে নেই, তারা চক্রান্ত করছে। ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানকে ব্যর্থ করতে গভীর চক্রান্ত চলছে। আওয়ামী ফ্যাসিবাদ প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থেকে দেশকে অকার্যকর ও অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে। বর্তমান সরকারের দায়িত্ব নেয়ার চার মাস হলেও ফ্যাসিবাদী সরকারের নিয়োগ পাওয়া ৩২টি মন্ত্রণালয়ে সচিবকে অপসারণ বা পরিবর্তন করা হয়নি। এখনো সচিবালয়ে, প্রশাসনে ফ্যাসিবাদের দোসররা বহাল আছে, স্তরে স্বৈরশাসকের ইঁদুররা বসে রয়েছে, তারা মাথাচাড়া দিতে পারে। সরকার যতই পদোন্নতি ও বদলী করছে তারপরও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের চরিত্রের কোনো পরিবর্তন হয়নি বলে মনে করছে প্রশাসন বিশেষজ্ঞরা এবং রাজনীতিবীদরা।

গত ১১ জুলাই বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাড.রুহুল কবির রিজভী বলেন, প্রশাসনে থাকা ফ্যাসিবাদের দোসররা বসে নেই, তারা চক্রান্ত করছে। ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানকে ব্যর্থ করতে গভীর চক্রান্ত চলছে। আওয়ামী ফ্যাসিবাদ প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থেকে দেশকে অকার্যকর ও অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে। তিনি আরো বলেন, প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে স্বৈরশাসকের ইঁদুররা বসে রয়েছে, তারা মাঝে মাঝে ঐরাবত তথা হাতি হওয়ার চেষ্টা করছে।

প্রশাসনে বর্তমানে অতিরিক্ত সচিবের অনুমোদিত পদসংখ্যা ২১২ হলেও দায়িত্বে রয়েছেন ৩৭০ জন। যুগ্ম সচিবের ৫০২টি পদের বিপরীতে রয়েছেন ১ হাজার ৩৪ জন। সুপারনিউমারারি পদসহ উপসচিব পদে অনুমোদিত সংখ্যা ১ হাজার ৪২০জন, যেখানে কর্মরত রয়েছেন ১ হাজার ৪০২ জন। পদোন্নতির নিয়ম অনুযায়ী, সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা ও ১০ বছরের সার্বিক চাকরিজীবনের যোগ্যতা পূরণ করলেই উপসচিব পদে পদোন্নতি পাওয়ার কথা। ৩০তম বিসিএস ব্যাচ সেই শর্ত পূরণ করেছে প্রায় তিন বছর আগেই। কিন্তু বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার আমলে বঞ্চিতদের পদোন্নতি এখনও অনিশ্চয়তায় রয়েছে। চলতি জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহেই সিনিয়র সহকারী সচিব থেকে উপসচিব পদে পদোন্নতির ঘোষণা আসতে পারে।এর জন্য ফ্যাসিস্ট সরকারে আমলে সচিবদের একান্ত সচিবরা দোড়ঝাপ ও তবদির শুরু করেছেন বিভিন্ন উপদেষ্টা এবং সচিবের কাছে। এরপর আগস্টে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতির সিদ্ধান্ত হতে পারে। সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড (এসএসবি) ইতোমধ্যে একাধিক বৈঠকে পদোন্নতিযোগ্য কর্মকর্তাদের কর্মজীবনের তথ্য, শৃঙ্খলা, দুর্নীতির সংশ্লিষ্টতা, নৈতিকতা ও পারিবারিক প্রেক্ষাপট খতিয়ে দেখেছে। ফ্যাসিস্ট সরকারে কাজে সাথে যারা জড়িত ছিলেন তাদের বিষয় কি হবে তাও ক্ষতিয়ে দেয়া হচ্ছে। আরও এক-দু’টি বৈঠকের পর চূড়ান্ত তালিকা অনুমোদনের জন্য প্রধান উপদেষ্টার কাযালয়ে পাঠানো হবে বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। আবার আগামী মাসে মাদরাস ও কারিগরি বিভাগের সচিবসহ কয়েকজন সচিব অবসরে যাবে তাদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়ার জন্য একটি রাজনৈতিক দল সুপারিশ করে আসছেন। এছাড়া ৩০ ও ৩১তম বিসিএসে অনিয়ম পিএসসির সুপারিশ ছাড়াই নিয়োগ হয়েছে ৪১ কর্মকর্তা তাদের বিষয় এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি জনপ্রশাসন। সব কিছু এলোমোলে থাকার পরও প্রশাসনে দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা উপসচিব ও অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতির প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে সরকার। কিন্তু বঞ্চিতরা এখনোই বঞ্চিত থেকেই যাচ্ছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহেই জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব থেকে উপসচিব পদে পদোন্নতির ঘোষণা আসতে পারে। এরপর আগস্টে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতির সিদ্ধান্ত হতে পারে। সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড (এসএসবি) ইতোমধ্যে একাধিক বৈঠকে পদোন্নতিযোগ্য কর্মকর্তাদের কর্মজীবনের তথ্য, শৃঙ্খলা, দুর্নীতির সংশ্লিষ্টতা, নৈতিকতা ও পারিবারিক প্রেক্ষাপট খতিয়ে দেখেছে। আরও এক-দু’টি বৈঠকের পর চূড়ান্ত তালিকা অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। এসএসবি সূত্রে জানা গেছে, উপসচিব পদে প্রায় ৭০০ কর্মকর্তার তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এর মধ্যে বিসিএস ৩০তম ব্যাচের কর্মকর্তারা রয়েছেন পদোন্নতির কেন্দ্রে। তারা ২০১২ সালের ৩ জুন প্রশাসনে যোগ দেন এবং ২০২২ সালের ৩ জুন উপসচিব পদে পদোন্নতির জন্য যোগ্যতা অর্জন করেন। তবে নানা প্রশাসনিক কারণে তাদের পদোন্নতি প্রায় তিন বছর ধরে ঝুলে রয়েছে। গত ২০২৪ সালের ১৮ জানুয়ারি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে পদোন্নতির জন্য তথ্য আহ্বান করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ও অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের আগমনে প্রশাসনে বড় ধরনের রদবদল ঘটে। ফলে পদোন্নতির প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয়। এ দিকে ৩০তম বিসিএস ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের ২৭৭ জনসহ মোট ৩১৯ জন কর্মকর্তা এবং অন্যান্য ক্যাডার থেকে ডিএস পুলে আবেদন করা ২২৩ জন কর্মকর্তার তথ্য যাচাই করা হয়েছে। সব তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রাথমিকভাবে ২৫০-২৮০ জন কর্মকর্তাকে পদোন্নতির জন্য বিবেচনা করা হচ্ছে। অন্যদিকে, অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতির জন্য ২০তম বিসিএস ব্যাচের কর্মকর্তাদের নাম প্রস্তাবিত তালিকায় রয়েছে। তারা ২০১৯ সালে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতির যোগ্যতা অর্জন করলেও ২০২১ সালে তা বাস্তবায়ন হয়। এবার অতিরিক্ত সচিব পদে তাদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটতে যাচ্ছে। প্রশাসন ক্যাডারের ২৪৪ জন কর্মকর্তা ছাড়াও অন্যান্য ক্যাডার মিলে ৩০০ জনের বেশি কর্মকর্তা অতিরিক্ত সচিব পদে বিবেচনায় আছেন। ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে ডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী ২০তম ব্যাচের ৪৩ জন কর্মকর্তাকে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। কিন্তু আরো অনেক ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলের অতিরিক্ত সচিব প্রশাসনে রয়েছে। তাদের পদোন্নতির তালিকায় রাখা হয়েছে বলে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অভিযোগ।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে অতিরিক্ত সচিবের অনুমোদিত পদসংখ্যা ২১২ হলেও দায়িত্বে রয়েছেন ৩৭০ জন। যুগ্ম সচিবের ৫০২টি পদের বিপরীতে রয়েছেন ১,০৩৪ জন। সুপারনিউমারারি পদসহ উপসচিব পদে অনুমোদিত সংখ্যা ১,৪২০, যেখানে কর্মরত রয়েছেন ১,৪০২ জন। এর মানে, প্রায় প্রতিটি স্তরেই অনুমোদিত পদের তুলনায় বেশি কর্মকর্তা রয়েছেন। ফলে নতুন পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের অনেককেই পুরনো পদেই কাজ চালিয়ে যেতে হতে পারে। স্বৈাচার পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে শুধু প্রশ্ন ফাঁস নয়, হয়েছে ৩০ তম ও ৩১তম বিসিএসে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি । বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) সুপারিশ ছাড়াই অবৈধভাবে ৪১ জনকে বিভিন্ন ক্যাডার পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। এর আগে দলটি ২৯তম বিসিএসের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অবৈধ পন্থা অবলম্বন করে ২১ ভুয়া ক্যাডার নিয়োগ দেয়, যাদের বিষয়টি এখন তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাব অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যতদিন যাচ্ছে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠছে। ফ্যাসিস্ট শক্তি আবারও জোটবদ্ধ হচ্ছে। গণতন্ত্রকে নস্যাৎকারীরা আবারও সংগঠিত হচ্ছে। তারা ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার চক্রান্ত করছে। সংস্কার বিএনপিই করেছে, প্রস্তাবও বিএনপিই দিয়েছে, তাই অযথা বিলম্ব না করে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। অনতিবিলম্বে নির্বাচন দিয়ে পরিস্থিতি ঠিক করার আহ্বান জানাই। এই দায়িত্ব এখন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের।

এসএসবি সূত্রে জানা গেছে, উপসচিব পদে প্রায় ৭০০ কর্মকর্তার তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এর মধ্যে বিসিএস ৩০তম ব্যাচের কর্মকর্তারা রয়েছেন পদোন্নতির কেন্দ্রে। তারা ২০১২ সালের ৩ জুন প্রশাসনে যোগ দেন এবং ২০২২ সালের ৩ জুন উপসচিব পদে পদোন্নতির জন্য যোগ্যতা অর্জন করেন। তবে নানা প্রশাসনিক কারণে তাদের পদোন্নতি প্রায় তিন বছর ধরে ঝুলে রয়েছে। সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড (এসএসবি) ইতোমধ্যে একাধিক বৈঠকে পদোন্নতিযোগ্য কর্মকর্তাদের কর্মজীবনের তথ্য, শৃঙ্খলা, দুর্নীতির সংশ্লিষ্টতা, নৈতিকতা ও পারিবারিক প্রেক্ষাপট খতিয়ে দেখেছে। আরও এক-দু’টি বৈঠকের পর চূড়ান্ত তালিকা অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। গত ২০২৪ সালের ১৮ জানুয়ারি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে পদোন্নতির জন্য তথ্য আহ্বান করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ও অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের আগমনে প্রশাসনে বড় ধরনের রদবদল ঘটে। ফলে পদোন্নতির প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয়। ৩০তম বিসিএস ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের ২৭৭ জনসহ মোট ৩১৯ জন কর্মকর্তা এবং অন্যান্য ক্যাডার থেকে ডিএস পুলে আবেদন করা ২২৩ জন কর্মকর্তার তথ্য যাচাই করা হয়েছে। সব তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রাথমিকভাবে ২৫০ ২৮০ জন কর্মকর্তাকে পদোন্নতির জন্য বিবেচনা করা হচ্ছে। অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতির জন্য ২০তম বিসিএস ব্যাচের কর্মকর্তাদের নাম প্রস্তাবিত তালিকায় রয়েছে। তারা ২০১৯ সালে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতির যোগ্যতা অর্জন করলেও ২০২১ সালে তা বাস্তবায়ন হয়। এবার অতিরিক্ত সচিব পদে তাদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটতে যাচ্ছে। প্রশাসন ক্যাডারের ২৪৪ জন কর্মকর্তা ছাড়াও অন্যান্য ক্যাডার মিলে ৩০০ জনের বেশি কর্মকর্তা অতিরিক্ত সচিব পদে বিবেচনায় আছেন। ফ্যাস্টিস সরকারের আমলে ডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী ২০তম ব্যাচের ৪৩ জন কর্মকর্তাকে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না হলেও অন্যান্য কর্মকর্তারা রয়েছে। অবৈধ প্রক্রিয়া অবলম্বন ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৪১ কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। পিএসসিতে তারা নন-ক্যাডার তালিকায় থাকলেও পরে আলাদা গেজেট প্রকাশ করে বেআইনিভাবে ক্যাডার পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ১৮ জন নারীকে ৩০তম বিসিএসের অধীনে নিয়োগ এবং বাকি ২৩ জনকে ৩১তম বিসিএসের মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়। এই দুই বিসিএসে ক্যাডার সার্ভিসের জন্য সুপারিশপ্রাপ্তদের মূল তালিকা প্রকাশের কয়েক মাস পর সেই সময়ের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আবদুস সোবহান সিকদার স্বাক্ষরিত আলাদা গেজেট জারি করা হয়। মেধাভিত্তিক প্রক্রিয়া এড়িয়ে এই ৪১ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। সেই সময়ের ঊর্ধ্বতন সরকারি কিছু কর্মকর্তা ও পিএসসির কিছু সদস্য এই অবৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জড়িত ছিলেন। এই অনিয়মের মাধ্যমে তারা বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেন। জানা গেছে, ৩০তম ও ৩১তম বিসিএসের মাধ্যমে যারা অবৈধ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ পেয়েছিলেন তাদের অনেককেই পরে গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন করা হয়। সেসব গুরুত্বপূর্ণ পদে কেউ কেউ এখনো আছেন। তাদের আওয়ামী লীগের অনুগত বলে ধরা হয়। ২০১২ সালের ১৭ মে ৩০তম বিসিএসের মূল গেজেট প্রকাশিত হয়। সেই গেজেটে ক্যাডার পদের জন্য সুপারিশকৃত ২ হাজার ২৬২ জনের নাম ছিল। এর পাঁচ মাস পর একই বছরের ২৩ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ১৮ জন নারীকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের জন্য একটি পৃথক গেজেট জারি করে। যদিও তাদের নাম ইতোপূর্বে নন-ক্যাডার তালিকায় ছিল। এছাড়া ২০১২ সালের ২৭ ডিসেম্বর ১ হাজার ৮১২ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগ দিয়ে ৩১তম বিসিএসের মূল গেজেট প্রকাশিত হয়। এর সাড়ে ছয় মাস পর ২০১৩ সালের ১২ জুন পৃথক একটি গেজেট প্রকাশ করে ২৩ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগ দেওয়া হয়। প্রথমবার পিএসসি তাদের নাম নন-ক্যাডার তালিকায় রাখে। এই ২৩ জনের মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে রয়েছেন ১১ জন। গত ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ২৯তম বিসিএসে ২১ জন নন-ক্যাডারকে অবৈধভাবে ক্যাডারে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। এসব অনিয়ম তদন্তে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে দুদক।