Image description

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছ। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য পুরোদমে প্রস্তুতি নিচ্ছে সাংবিধানিক সংস্থা নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে প্রার্থী বাছাই শুরু করেছে রাজনৈতিক দলগুলো। সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণা শুরু করেছেন। জনকল্যাণমূলক বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে নিজ নিজ দলের হাইকমান্ডের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে আইনজীবীরাও পিছিয়ে নেই। শুধু জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি থেকে ধানের শীষের প্রার্থী হতে মাঠে রয়েছেন ৪০ জনের মতো সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। তারা নির্বাচনী এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন। সিনিয়র থেকে শুরু করে তরুণ আইনজীবীরাও রয়েছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকায়।

জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেতে চান এমন কয়েকজন আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেছে ঢাকা পোস্ট। তারা আইনজীবী হিসেবে সংসদে আইন প্রণয়নসহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য এমপি হতে চান বলে জানান।

বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকায় রয়েছেন— জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, সুপ্রিম কোর্ট বার সভাপতি ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ও বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সেক্রেটারি গাজী তৌহিদুর ইসলাম ও ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী।

এ তালিকায় আরও রয়েছেন— সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া, ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা, ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিন, ব্যারিস্টার নওশাদ জমির, বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য অ্যাডভোকেট ফারজানা শারমিন পুতুল, ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান, ব্যারিস্টার সানজিদ সিদ্দিকীসহ সুপ্রিম কোর্টের ৪০ জনের মতো আইনজীবী।

অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন

বরিশাল-৩ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। তিনি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির তিনবারের সভাপতি। তাকে ওই আসনে বিএনপির মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে বলে গুঞ্জন রয়েছে।

সময় পেলেই তিনি নির্বাচনী এলাকায় ছুটে যান। এলাকায় জনকল্যাণমূলক কাজে আগে থেকেই সম্পৃক্ত এই আইনজীবী।

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান

ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেতে পারেন বর্তমান অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক। এর আগে এ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তিনি।

dhakapost

ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন

নোয়াখালী-১ আসনের প্রার্থী হবেন সুপ্রিম কোর্ট বার সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন। তিনি ওই আসন থেকে একাধিকবার সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণার মধ্যদিয়ে সময় পার করছেন জনপ্রিয় এ আইনজীবী নেতা।

ব্যারিস্টার কায়সার কামাল

নেত্রকোনা-১ (দুর্গাপুর-কলমাকান্দা) আসনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। বিএনপি থেকে তার মনোনয়ন পাওয়া নিশ্চিত বলা যায়।

২০১৮ ও ২০১৪ সালে তিনি বিএনপি থেকে ওই আসনে মনোনয়ন পেয়েছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক নির্বাচিত সিনেট সদস্য। ছাত্রদলের বিভিন্ন পদে নেতৃত্ব দিয়েছেন। অনেক আগে থেকে এলাকায় বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজে সম্পৃক্ত ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। এলাকায় ব্রিজ, কালভার্ট তৈরি থেকে শুরু করে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে অবদান রেখেছেন। গরিব-অসহায় মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে নির্বাচনী এলাকায় নিয়মিত বিনামূল্যে চিকিৎসা ক্যাম্পের আয়োজন করেন।

ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল

ঝিনাইদহ-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেতে আগ্রহী জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, জনপ্রিয় আইনজীবী নেতা ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। তিনি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও ছাত্রদলের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও বার কাউন্সিলে বারবার নির্বাচিত হয়ে আসছেন এই আইনজীবী নেতা। এলাকায় হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে পরিচিত ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম

ঢাকা-১০ (ধানমন্ডি) আসন থেকে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীমের মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক। নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণায়ও সরব রয়েছেন তিনি।

অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল

বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) আসনে বিএনপির মনোনয়ন চান ঢাবির মুহসীন হল ছাত্র সংসদের সাবেক এজিএস, হলের জেনারেল সেক্রেটারি, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী মো. কামরুল ইসলাম সজল।

তিনি গৌরনদী-আগৈলঝাড়া আসন থেকে ধানের শীষে মনোনয়ন পেতে আগ্রহী। আইন পেশার কারণে ঢাকায় থাকলেও বিভিন্ন দিবস ও সামাজিক অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে প্রায়ই তিনি এলাকায় গিয়ে গণসংযোগ করছেন। এলাকার উন্নয়নমূলক কাজে অবদান রেখে যাচ্ছেন এক সময়ের তুখোড় এ ছাত্রনেতা। বিএনপির হয়ে ভোটযুদ্ধে জয়ী হতে দলকে সংগঠিত করার পাশাপাশি এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। সে কারণে আলোচনায় রয়েছেন সজল।

অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান

কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফজলুর রহমান। তিনি একজন তুখোড় বক্তা। ২০০৮ সালের নবম ও ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হয়েছিলেন।

এবারও এই আসন থেকে তিনি মনোনয়ন পেতে পারেন। যদিও সম্প্রতি বিভিন্ন বক্তব্যের কারণে তিনি সমালোচিত হয়েছেন। অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সেক্রেটারি ও সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। ২০০১ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে যোগ দিয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হন।

ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল

জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী সুপ্রিম কোর্ট শাখা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার এম বদরুদ্দোজা বাদল।

অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী

মধুপুর ও ধনবাড়ী উপজেলা মিলিয়ে টাঙ্গাইল-১ সংসদীয় আসন গঠিত। সদর আসনের মতো জেলার রাজনীতিতে আসনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ আলী এলাকায় গণসংযোগ করছেন। তিনি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম মহাসচিব। মোহাম্মদ আলী টাঙ্গাইল-১ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী।

dhakapost

অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী

মাগুরা-১ আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নিতাই রায় চৌধুরীর মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি এর আগে ওই আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।

ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী

কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসন থেকে বিএনপির টিকিট নিয়ে নির্বাচনে লড়তে চান সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী।

দেশ স্বাধীনে রাগীবের বাবা আব্দুর রউফ চৌধুরীর ভূমিকা ছিল অপরিসীম। রাজনীতিবিদ আব্দুর রউফ চৌধুরী দুবারের এমপি থাকাকালীন এলাকায় অনেক উন্নয়ন করেছেন। বাবার পথ ধরেই হাঁটতে চান রাগীব রউফ চৌধুরী।

অ্যাডভোকেট গাজী তৌহিদুল ইসলাম

বরগুনা (আমতলী) আসন থেকে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট শাখার সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট গাজী তৌহিদুল ইসলাম। তিনি আমতলী উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক। এই আইনজীবী নেতা নির্বাচনী প্রচারণায় এলাকায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।

অ্যাডভোকেট ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া

সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া ভোলা-৪ (চরফ্যাশন-মনপুরা) আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী। এলাকায় তিনি দানবীর হিসেবে পরিচিত। বহু মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। এলাকার মানুষের নৌ-পারাপারের সমস্যা সমাধানে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।

আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ আমলে বৈষম্যের শিকার শতাধিক বিএনপিপন্থি শিক্ষার্থীকে বিএসএস ক্যাডার হিসেবে নিয়োগের ব্যবস্থা করেছেন।

এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজ ও ব্যাপক গণসংযোগ করে এরই মধ্যে ভোলা-৪ আসনে সাড়া ফেলেছেন তিনি। বরিশাল বিএম কলেজের জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের একসময়ের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিদ্দিক উল্লাহ বলেন, আমি রাজনীতি বলতে বুঝি মানুষের পাশে থাকা, মানুষের কষ্টে পাশে দাঁড়ানো। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি আর মাদকের ভয়াবহ ছোবল থেকে আমাদের প্রিয় চরফ্যাশন ও মনপুরাকে মুক্ত করতে আমি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। হাতে হাত রেখে একসঙ্গে গড়তে চাই একটি নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ ও মানবিক সমাজ। ভালোবাসা আর ভরসা নিয়ে আমি থাকতে চাই গরিব-দুঃখী মানুষের হৃদয়ের গভীরে। দল আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি ভোলা-৪ আসনটি দেশনায়ক তারেক রহমানকে উপহার দিতে পারব, এটা আমার অঙ্গীকার।

ব্যারিস্টার নওশাদ জমির

পঞ্চগড়-২ আসন থেকে চারদলীয় জোট সরকারের আমলে স্পিকারের দায়িত্ব পালন করা জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মুহম্মদ জমিরউদ্দিন সরকার এবার নির্বাচন করবেন কি না, তার নিশ্চয়তা নেই। তবে, এবার তার ছেলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার নওশাদ জমিরের ওই আসন থেকে মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিন

চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে বিএনপির মনোনয়ন চান সাবেক প্রতিমন্ত্রী মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনের ছেলে ব্যারিস্টার মীর হেলাল। একই আসন থেকে মনোনয়ন চান বিএনপির অন্য আইনজীবী ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা।

অ্যাডভোকেট ফারজানা শারমিন পুতুল

নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসন থেকে বিএনপির টিকিটে নির্বাচনে লড়তে চান দলটির চেয়ারপার্সনের ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজরি কমিটির স্পেশাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ও বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য অ্যাডভোকেট ফারজানা শারমিন পুতুল।

তিনি এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা বেশ জোরেশোরেই চালিয়ে যাচ্ছেন। তার বাবা প্রয়াত ফজলুর রহমান পটল এই আসন থেকে একাধিকবার এমপি ও মন্ত্রী হয়েছিলেন। মা কামরুন্নাহার শিরিনও এমপি ছিলেন।

dhakapost

ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন

বাগেরহাট-৪ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন। তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানের আইনজীবী প্যানেলের অন্যতম সদস্য। নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণা ও সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি।

ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন

রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন। তিনি এলাকায় দলীয় কর্মকাণ্ড ও উন্নয়নমূলক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন।

ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা
 
চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসন থেকে বিএনপির হয়ে লড়তে চান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার আমলে তিনি জেল-জুলুমের শিকার হন।

ব্যারিস্টার মেহনাজ মান্নান

ঢাকা-১ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী দলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নানের মেয়ে ব্যারিস্টার মেহনাজ মান্নান। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে থাকার চেষ্টা করেন তিনি।

ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান ঢাকা-১৯ (সাভার-আশুলিয়া) আসন থেকে নির্বাচন করতে চান। তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্যও। সামাজিক সংগঠন নাবিক (নাগরিক বিকাশ ও কল্যাণ)-এর সভাপতি তিনি। টকশোতে বিএনপির নীতি ও আদর্শের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন এই আইনজীবী।

ব্যারিস্টার এইচএম সানজিদ সিদ্দিকী

ঢাকা-২০ আসন (ধামরাই) থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার এইচ এম সানজিদ সিদ্দিকী। তিনি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাবেক নেতা। অনেক আগে থেকে এলাকায় নানা সমাজকল্যাণমূলক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত তিনি।

অ্যাডভোকেট রুকনুজ্জামান সুজা

টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসন থেকে বিএনপির হয়ে নির্বাচনে লড়তে চান অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ রুকনুজ্জামান সুজা।  তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক।

ব্যারিস্টার সাইফুল ইসলাম উজ্জ্বল

কুমিল্লা-২ (হোমনা ও মেঘনা) আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী বিএনপির হোমনা উপজেলা কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সাইফুল ইসলাম উজ্জ্বল। তিনি অনেক আগে থেকেই তার নির্বাচনী এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত। নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন এ আইনজীবী।

ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে লড়তে চান সাবেক সংসদ সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।

ভাষা সৈনিক অলি আহাদের মেয়ে রুমিন ফারহানা। নিজেকে তরুণ প্রজন্মের প্রার্থী দাবি করা রুমিন দলের হারানো এ আসনটি পুনরুদ্ধার করতে চান।

ব্যারিস্টার আতিকুর রহমান

কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আতিকুর রহমান। তিনি কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য। নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে এলাকায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি।

অ্যাডভোকেট নূরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ

সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট নূরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ যশোর-৪ আসন (বাঘারপাড়া-অভয়নগর ও বসুন্দিয়া) থেকে বিএনপির টিকিটে লড়তে চান। তিনি আওয়ামী লীগ সরকার আমলে জেল-জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হন। এলাকার উন্নয়নমূলক কাজের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন। মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী এই আইনজীবী।

অ্যাডভোকেট এবিএম ইব্রাহিম খলিল

সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য এবিএম ইব্রাহিম খলিল ভোলা-২ (বোরহানউদ্দিন-দৌলতখান) আসন থেকে দলীয় প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করতে চান। দলীয় কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত-নিহতদের পরিবারকে সার্বিক সহায়তা দিয়ে আসছেন।

অ্যাডভোকেট এএম জামিউল হক ফয়সাল

সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট এএম জামিউল হক ফয়সাল কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী-বাজিতপুর) আসনে ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করতে চান। ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সন্তান জামিউল হক ফয়সাল মনোনয়ন পেলে আসনটি বিএনপিকে উপহার দিতে পারবেন বলে জানান।

এছাড়া, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খোন্দকার মোশাররফ হোসেনের ছেলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. খোন্দকার মারুফ হোসেন, অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরী, বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমানের ছেলে ব্যারিস্টার ইরফান আমানও রয়েছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকায়।