Image description
 

গাজীপুর জেলার টঙ্গীর দত্তপাড়া এলাকায় পরকীয়া প্রেমের কারণে স্বামীর হাতে প্রেমিক খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ প্রেমিকাকে গ্রেফতার করেছে। 

 

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) ভোররাতে এ ঘটনায় এক সন্তানের জননী প্রেমিকা সুলতানা বেগমকে গ্রেফতার করে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ। এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার বিকালে প্রেমিক কামরুলের মৃত্যু হয়।

পরকীয়া প্রেমের বলি প্রেমিক কামরুল ইসলাম (২৬) টঙ্গীর এরশাদনগর এলাকার ৩ নম্বর ব্লকের দুলাল মিয়ার ছেলে। গ্রেফতার প্রেমিকা সুলতানা বেগম (৩০) এলাকার ১ নম্বর ব্লকের পাখি মিয়ার মেয়ে ও সাব্বির আহমেদের স্ত্রী।

মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্র জানায়, এক সন্তানের জননী সুলতানা বেগম প্রতিবেশী কামরুল ইসলামের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন।  বিষয়টি সুলতানার স্বামী সাব্বির টের পেয়ে তার সংসার বাঁচাতে কামরুলকে পরকীয়া প্রেম থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করেন। তবুও কামরুল নিজেকে পরিবর্তন করেননি। 

গত শনিবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে টঙ্গীর দত্তপাড়া দিঘীরপাড় দারুল আহসান মাদানিয়া মাদ্রাসার সামনে সন্তানকে মাদ্রাসায় নিয়ে আসার সুবাদে সুলতানার সঙ্গে কামরুলের দেখা ও কথা হয়। এ সময় হঠাৎ সাব্বির এসে কামরুলকে ধারালো সুইচগিয়ার ও লোহার রড দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। 

এতে গুরুতর আহত কামরুলকে প্রথমে টঙ্গীর আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সবশেষে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার বিকালে কামরুল মারা যান।

এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই কামাল হোসাইন বাদী হয়ে দুইজনকে আসামি করে টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলার দুই নম্বর আসামি সুলতানা বেগমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এক নম্বর আসামি সুলতানার স্বামী সাব্বির পলাতক রয়েছেন। 

টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, লাশ শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মামলার ২ নম্বর আসামি প্রেমিকা সুলতানাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।  প্রধান আসামি সাব্বিরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।