Image description
 

শরিয়াভিত্তিক ইসলামী ব্যাংকের বর্তমান চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ ও তার পরিবারের পাঁচ সদস্যের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।

সোমবার (১৪ জুলাই) সব ব্যাংকের কাছে এ তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছে বিএফআইইউ।

চিঠিতে বলা হয়েছে, আপনাদের ব্যাংকে ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ এবং তার পরিবারের সদস্যদের বা তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট অন্যকোনো নামে যে কোনো (হিসাব খোলার ফরম ও হালনাগাদ বিবরণী), সঞ্চয়পত্র, বন্ড, লকার, ক্রেডিট কার্ড, স্টুডেন্ট ফাইল, প্রি-পেইড কার্ড, গিফট কার্ডসহ পাঁচ লাখ ও তার বেশি লেনদেনের ভাউচার আগামী ১৫ জুলাইয়ে মধ্যে বিএফআইইউকে পাঠাতে হবে।

 

এদিকে মাত্র সাত মাসে রাজস্ব ফাঁকির বড় একটি চিত্র সামনে এনেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিট। এ সময়ে ১৮৩ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মোট ১ হাজার ৮৭৪ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকির তথ্য উদ্ঘাটন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৩ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ১১৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা আদায় করে তা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে।

 

সোমবার (১৪ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।

 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৭ মাসে গোয়েন্দা কার্যক্রমের ভিত্তিতে ১৮৩ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কর ফাঁকির প্রাথমিক তদন্তে ১ হাজার ৮৭৪ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির বিষয় উদ্‌ঘাটন করেছে সংস্থাটি। ৬৩ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে ইতোমধ্যে ২৩১টি চালানের মাধ্যমে ১১৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা উদ্ধার করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, সুনির্দিষ্ট কর ফাঁকির তথ্য পাওয়ায় এ পর্যন্ত শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, রাজস্ব খাতে আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিটের কার্যক্রম নৈতিকতা, প্রযুক্তি ও আইনগত দিক থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত। ইতোমধ্যে ইউনিট যে সাফল্য অর্জন করেছে, তা প্রমাণ করে- শুধু রাজস্ব আদায় নয়, বরং করদাতাদের আইন মেনে চলার প্রবণতা বৃদ্ধিতে এবং একটি সুস্থ কর সংস্কৃতি গড়ে তুলতেও এই ইউনিট কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

উল্লেখ্য, শুল্ক ও কর ফাঁকি উদ্‌ঘাটনসহ গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এনবিআরের অধীনে আয়কর বিভাগের পাশাপাশি ভ্যাট ও শুল্ক বিভাগেও পৃথক গোয়েন্দা ইউনিট রয়েছে। এ ছাড়াও এসব কার্যক্রমকে সমন্বিতভাবে পরিচালনার জন্য এনবিআরের অধীনে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) নামে একটি স্বতন্ত্র ইউনিটও কাজ করছে।