Image description
 

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবো পৌরসভার মোগড়াকুল এলাকায় ভাড়া বাড়ির মালিক সাইফুল ইসলাম(৩১) কর্তৃক স্থানীয় মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল ১০জুলাই বৃহস্পতিবার ভোরে ছাত্রীর মাতা-পিতা কর্মস্থলে চলে যাওয়ার পর এ ঘটনা ঘটে।  

পুলিশ জানায়, তারাবো পৌরসভার মোগড়াকুল এলাকার পরস আলীর ছেলে সাইফুল ইসলামের ভাড়া বাড়ির ২য় তলায় ওই মাদরাসার ছাত্রী তার বাবা-মায়ের সঙ্গে স্বপরিবারে বসবাস করেন। ওই মেয়ে স্থানীয় নুরুল হেরা মহিলা মাদরাসায় পড়াশোনা করে। তার পিতা-মাতা রূপসী ফারিহা স্পিনিং মিলস্ লিমিটেডে শ্রমিক হিসেবে চাকুরি করেন।  

গত ১০জুলাই বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টায় মেয়েটির পিতা-মাতা তাদের কর্মস্থলে চলে যায়। এসময় ওই ছাত্রী বাড়ির প্রধান গেইটে ছিটকিনি দিয়ে তাদের বসতঘরে যাওয়ার সময় সে লম্পটের কবলে পড়ে। মেয়েটির মুখ চেপে ধরে টেনে-হিঁচড়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাকে পাশের নির্জন কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে মুখ চেপে ধরে প্রাণনাশের ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হয়। একপর্যায়ে মেয়েটির ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে ধর্ষক সাইফুল ইসলাম পালিয়ে যায়। পরে মেয়েটিকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

 

এ ব্যাপারে মেয়েটির মা জোসনা আক্তার বাদী হয়ে মোগড়াকুল গ্রামের পরশ আলীর ছেলে সাইফুল ইসলামকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। 

 

রূপগঞ্জ থানা ওসি মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম বলেন,  ঘটনাস্থল পুলিশ পরিদর্শন করেছে। মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামীকে গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।