Image description
 

মোহাম্মদপুরে দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধভাবে কৃষি মার্কেট থেকে চাঁদা তুলে আসছিলো ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের যোগ সাজশে স্থানীয় একটি চক্র। বৈধ দোকানদারদের দোকান ফিরিয়ে দেয়া ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার জন্য দাবি জানাতে আজ ৯ জুলাই, '২৫ বুধবার জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) মোহাম্মদপুর থানার প্রতিনিধি মোহাম্মদ মোস্তাকিম, অ্যাড লুৎফুল কবির সুজন, জাবেদ, শাওনসহ একটি প্রতিনিধিদল উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অঞ্চল- ৫ কার্যালয়ে এ যান।  

সেখানে আগে থেকেই ওত পেতে থাকা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের অবৈধ মেয়র আতিকের ঘনিষ্ঠ কুখ্যাত দালাল ও চাঁদাবাজ মাহবুব আলমের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী এনসিপি মোহাম্মদপুর প্রতিনিধিদের উপর অতর্কিত হামলা ও হত্যা চেষ্টা করে। এসময় এনসিপির প্রতিনিধিদের একটি রুমে আটকে রেখে দেশীয় অস্ত্রসহ উপর্যুপুরি হামলা চালায় সন্ত্রাসী মাহবুব ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী।‌ এতে গুরুতর আহত হোন মোস্তাকিম, কবীর সুজন, জাবেদ, শাওন, সানীসহ আরো অনেকে। শুধু তাই নয় এসময় এনসিপি নেতৃবৃন্দের কাছে থাকা মোবাইল, মানি ব্যাগ ও নগদ অর্থ ছিনতাই করে তারা। 

আহতদের শহীদ সোহরাওয়ার্দী হসপিটালে ভর্তি করা হয়। উল্লেখ্য চাঁদাবাজ মাহবুবের নেতৃত্বে একই গ্রুপ চাঁদাবাজিতে বাঁধা দেয়ায় মোহাম্মদপুর জামায়াত ইসলামীর নেতাকর্মীদের উপরও প্রকাশ্যে হামলা চালায়। দেশের অনেকগুলো গণমাধ্যমের সামনে জামাতের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করার পরও পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় নি।

 

মাহবুব আওয়ামী লীগের আমল থেকেই সিটি কর্পোরেশনে আতিকের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন তদবির ও টেন্ডার বাণিজ্যে তাকে সবসময় দেখা যায়। মোহাম্মদপুর অঞ্চলের ময়লার চাঁদা, ফুটপাতসহ চাঁদাবাজির এক স্বর্গ রাজ্য গড়ে তুলেছে মাহবুব। পাঁচ আগস্ট পরবর্তী সময়ে এই মাহবুব স্থানীয় প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় তারা এক ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। 

 

মোহাম্মদপুরে কৃষি মার্কেটে মেয়র আতিকের সময় থেকেই অবৈধ স্থাপনা তৈরি করে ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে চাঁদাবাজি করে আসছিলো মাহবুবের নেতৃত্বে এই গ্রুপটি।  পূর্বে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর আসিফসহ এখানের চাঁদা তুললেও ৫ আগস্টের পর মাহবুবের নেতৃত্ব নতুন সিন্ডিকেট গড়ে উঠে। যারা নিয়মিত মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন জায়গা থেকে চাঁদা তুলে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলেই নেমে আসে সন্ত্রাসী হামলা এবং মামলা বানিজ্য। 

আমরা অবিলম্বে এই সন্ত্রাসী হামলার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় মোহাম্মদপুরবাসীদের নিয়ে চাঁদাবাজ ও দখলবাজদের বিরুদ্ধে তীব্র গণ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।