
টানা ৩ দিনের বৃষ্টিতে বেনাপোল বন্দর এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বন্দর অভ্যন্তরের অনেক স্থানে হাঁটুপানি জমায় ব্যাহত হচ্ছে পণ্য খালাস প্রক্রিয়া। এছাড়া দীর্ঘক্ষণ পানির মধ্যে থাকায় অনেক পণ্যের গুণাগুণ নষ্ট হচ্ছে।
যানবাহন ও নিরাপত্তা কর্মীদের চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ায় বন্দরের ৯, ১২, ১৫, ১৬ ও ১৮ নম্বর শেড থেকে লোড-আনলোড বন্ধ হয়ে আছে।
ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই বন্দরে হাঁটু পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে থাকে। কয়েক বছর ধরে এ দুর্ভোগ হলেও নজর নেই বন্দর কর্তৃপক্ষের। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছেন, রেল কর্তৃপক্ষ কালভার্ট না রেখে মাটি ভরাট করায় পানি নিষ্কাশনে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
তবে এসব শেড ও ওপেন ইয়ার্ড অধিকাংশই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে তৈরি হয়নি। বন্দর সড়কের উচ্চতার চেয়ে পণ্যগারগুলো নিচু হওয়ায় একটু বৃষ্টিপাত বেশি হলে পানি নিষ্কাশনের অভাবে পণ্যাগার ও ইয়ার্ডে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। এতে পানিতে ভিজে যেমন পণ্যের গুণগতমান নষ্ট হয় তেমনি চলাচলের বিঘ্ন ঘটছে। তবে বুধবার সকাল থেকে সেচযন্ত্র চালিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বেনাপোল বন্দর পরিচালক শামিম হোসেন জানান, বন্দরের জলাবদ্ধতা প্রতি বছরই তৈরি হয়। বিশেষ করে রেল বিভাগ কালভার্ট না রেখে মাটি ভরাট করায় সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বন্দরের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে পড়েছে। তবে দ্রুত এ অবস্থা কাটিয়ে তুলতে পার্শ্ববর্তী হাওড়ের সঙ্গে বন্দরের ড্রেন তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।