Image description

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত হোসেন মিয়ার (৪২) খোঁজ কেউ রাখে না। অভাবে ভ্যান বিক্রির টাকায় ঢাকা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। হোসেন সদর উপজেলার রাঘবদাড় ইউনিয়নের উত্তরবীরপুর এলাকার ছালেক মিয়ার ছেলে।

জানা যায়, গত ৪ আগস্ট দুপুরে হোসেন মিয়া সদর উপজেলার পান্দুয়ালী ব্রিজ এলাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র জনতার সঙ্গে অংশ নেন। সেখানে ছাত্র-জনতার সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। ছাত্র-জনতার ওপর ব্যাপক আকারে গুলিবর্ষণ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। টিয়ারশেল মুখে লাগার কারণে তিনি আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ ঘটনার পর থেকে কোনো কাজকর্ম করতে না পারায় মানবেতর জীবন-যাপন করছে তার পরিবার।

হোসেন মিয়া বলেন, আন্দোলন করে আমরা আহত হলাম, আজ নতুন বাংলাদেশের সুফল সবাই ভোগ করছে। নেতারা এখন রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত। এখন কেউ আমার আর খবর রাখে না। খেয়ে না খেয়ে দিন যাচ্ছে, কেউ খবর নিতে এলো না। গত চার মাসে সরকারের লোকজনও খোঁজখবর নিতে এলো না। চিকিৎসা বাবদ একটি টাকাও কেউ দিল না।

তিনি কেঁদে কেঁদে আরও বলেন, আমরা অনেক গরিব মানুষ, অনেক কষ্ট করে আমাদের ছয় সদস্যের পরিবার চলে। এ সময় তিনি সবার সহায়তা প্রত্যাশা করেন।

এ বিষয়ে মাগুরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত জাহান বলেন, আহত হোসেন মিয়ার বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। তার পরিবারের স্বজনরা যোগাযোগ করলে সহায়তা করা হবে।