
ইরান-ইসরাইল যুদ্ধের সময় গোপনে ইসরাইলকে সহযোগিতা করেছে অন্তত পাঁচটি মুসলিম দেশ। প্রকাশ্যে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা জানালেও, পর্দার আড়ালে তারা বিভিন্নভাবে ইসরায়েলের স্বার্থ রক্ষা করেছে। এসব তথ্য উঠে এসেছে ইসরাইলি পত্রিকা "ইসরাইল হাইওয়ে"-এর এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি আরব ইসরাইলের স্বার্থ রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা রেখেছে।
-
দেশটি জর্ডান ও ইরাকের আকাশসীমায় হেলিকপ্টার পাঠায়,
-
যার মাধ্যমে ইরান থেকে ছোড়া বিস্ফোরক বোঝাই ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে।
যদিও এই পদক্ষেপকে আঞ্চলিক আকাশসীমার নিরাপত্তা রক্ষার অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটি ছিল ইসরায়েলি বিমান প্রতিরক্ষার সহায়ক কৌশল।
ইসরাইলের সহযোগিতায় থাকা বাকি মুসলিম দেশগুলো হলো:
-
আফগানিস্তান
-
জর্ডান
-
আজারবাইজান
-
ইরাক
ইরান সরাসরি জর্ডান ও ইরাককে অভিযুক্ত করেছে। তাদের দাবি, ইরান থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন মাঝপথেই এই দুই দেশের সহায়তায় প্রতিহত করা হয়েছে।
যুদ্ধ শেষে ইরান শুরু করেছে ইসরায়েলি গুপ্তচর চিহ্নিত করতে বড় আকারের অভিযান।
জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি রিচার্ড বেনেট অভিযোগ করেছেন, “ইসরায়েলের গুপ্তচর সন্দেহে ইরানে আফগান অভিবাসীদের গণগ্রেপ্তার করা হচ্ছে।”
ইরানে প্রায় ৩০ লাখ আফগান নাগরিক বাস করে, যাদের বেশিরভাগের বৈধ কাগজপত্র নেই।