Image description

সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া “কনের নাচের কারণে ধামরাইয়ে বিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে” — এমন দাবি ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে নিশ্চিত করেছে একাধিক সূত্র। ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি কোনো বিয়ের অনুষ্ঠান নয়, বরং একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের অংশ, যেটিকে মিথ্যা বিয়েবিচ্ছেদের ঘটনার সঙ্গে জুড়ে ভাইরাল করা হয়েছে।

সম্প্রতি একটি ভুয়া ফেসবুক পেইজ থেকে দাবি করা হয়, ধামরাইয়ের এক কলেজছাত্রীর ‘অশ্লীল’ নাচের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর পাত্রপক্ষ বিয়ে বাতিল করে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, একজন তরুণী মঞ্চে নৃত্য পরিবেশন করছেন, যা দেখে নেটিজেনদের একাংশ কটাক্ষ শুরু করেন। ঘটনাটি সামাজিক মাধ্যমে চরম আলোড়ন তোলে।

তবে অনুসন্ধানে জানা যায়, ভিডিওতে যাকে দেখা যাচ্ছে, তিনি এই বিয়ের ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। এমনকি ধামরাইয়ে এ ধরনের কোনো বিয়েবিচ্ছেদের ঘটনাও ঘটেনি। ভুয়া তথ্য ছড়ানোর জন্য ওই ফেসবুক পেইজটিই পরবর্তী পোস্টে স্বীকার করে যে ভাইরাল হওয়া ভিডিও ও তরুণীর সঙ্গে বিয়েবিচ্ছেদের কোনো সম্পর্ক নেই।

এদিকে, ইউটিউবার ও কিছু অনলাইন চ্যানেল ইচ্ছাকৃতভাবে ভাইরাল ভিডিওটিকে বিভ্রান্তিকর শিরোনাম ও বানানো সংলাপসহ ছড়িয়ে দেয়। এতে স্থানীয় এক কলেজছাত্রী ও তার পরিবারের মানসম্মান মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হয়।

আইনজীবীরা বলছেন, এ ধরনের গুজব ছড়ানো, কারও সম্মানহানিকর ভিডিও ছড়ানো এবং ভুল তথ্য প্রকাশ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় গুরুতর অপরাধ। ভুক্তভোগী পরিবার চাইলে মানহানি ও সাইবার অপরাধে মামলা করতে পারেন।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সামাজিক মাধ্যমে দায়িত্বহীন কনটেন্ট ছড়ানো রোধে কড়া নজরদারি ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া সময়ের দাবি।