Image description
বেগম জিয়ার ডান পাশে মহিলাটার নাম ফাতেমা, ফাতেমা বেগম। অতি সাধারণ একজন মহিলা, উনার পরিচয় উনি বেগম জিয়ার গৃহপরিচারিকা।

এই ছবিটা তোলা ২০১৪ সালের মার্চ ফর ডেমোক্রেসিতে। এই ছবিতে না, ওই ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখতে পাবেন, বেগম জিয়া যখন ফিরোজার দোরগোড়ায় পুলিশের চাপে ঠিকমতন দাড়াতেও পারছিলেন না, ফাতেমা এক হাত দিয়ে বেগম জিয়াকে শক্ত হাতে ধরে রেখেছিলেন।

২০১৮তে হা সি নার পোষা কুকুর-আদালত বেগম জিয়াকে পুরান ঢাকার সেই পরিত্যক্ত কারাগারে সলিটারি কনফাইনমেন্টে পাঠায়, সেখানে ফাতেমা ছিলেন উনার একমাত্র সঙ্গী। ফাতেমা এই কারাবন্দীত্ব স্বেচ্ছায় মেনে নিয়ে বেগম জিয়াকে চ্যুজ করেছিলেন, তার পাশে থাকবেন বলে।

আ ও য়া মি নোংরামির আঁচ কিন্তু ফাতেমাপাকেও ছাড়েনি, ফাতেমাকে কেন জেলে ভরে(!) রেখেছেন সেই সমালোচনা হা সি না থেকে ৭১টিভির স্কৃনে এসেছে বার বার। তাতে সুবিধা না করতে পেরে, ফাতেমার পরিবারকে ফুসলিয়ে তাদের কাছ থেকে "বিএনপি টাকা দেয় না ঠিকমত" এরকম নোংরা আলাপ বের করেছিল, পরবর্তীতে ফাতেমাপার পরিবারই ৭১টিভির এই নোংরা রাজনীতির স্বরূপ ফাস করিয়ে দিয়েছিলেন। একটা টিভি চ্যানেলও কতোটা নোংরা রাজনীতির হাতিয়ার হতে পারে ভাবুন একবার, ফাতেমার মতন একজন আটপৌরে নারীকেও ছাড় দেয়নি। কিন্তু আশার কথা ফাতেমা দমে যান নি, নিজের কমিটমেন্ট থেকে সরেননি, বোধকরি তার পাশে থাকা অন্য নারীটির আপোষহীনতার ছাট তার মাঝেও সঞ্চারিত হয়েছিল। সেই থেকে আজ পর্যন্ত খালেদা জিয়ার পাশে একইভাবে রয়ে গেছেন।

সত্য বলতে, ফাতেমা না থাকলে বোধকরি বেগম জিয়া আর কখনোই মুক্ত আকাশ দেখতে পেতেন না। বেগম জিয়াকে ডিভিশন দেয়া হয়নি প্রায় সপ্তাহখানেকের মতন। এমন কি মাইল্ড স্ট্রোক করে কারাগারে পড়েছিলেন লম্বা সময়, টৃটমেন্ট জোটেনি। এই পুরো দুঃসহ সময়ে ফাতেমা বেগম জিয়াকে আগলে রেখেছেন।

আজ সন্ধ্যায় বেগম জিয়া রওনা হবেন লন্ডনের উদ্দেশ্যে, কাতারের আমিরের বিশেষ সৌজন্যে দেয়া এয়ার এ্যাম্বুলেন্সে করে। সেখানেও বেগম জিয়ার পাশে থাকবেন ফাতেমা। বেগম জিয়া ফাতেমাপাকে নিচ্ছেন লন্ডনেও।

ফাতেমাপাকে ঈর্ষা করি, বেগম জিয়ার পাশে এরকম নিরবিচ্ছিন্ন হয়ে থাকার সুযোগ পাওয়ায়। তবে তারচেয়েও বেশি ঈর্ষা করি, তার লয়ালিটির জন্য। এই লয়ালিটি টাকায় কেনা অসম্ভব, বেগম জিয়ার ছায়া হয়ে, ছাতা হয়ে তার পাশে ছিলেন।

ফাতেমাকে ধন্যবাদ। আমরা, বাংলাদেশীরা আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ!