Image description

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার লেহেম্বা ইউনিয়নে প্রায় দুই কিলোমিটার দীর্ঘ একটি সড়ক নির্মাণে ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের ইট, খোয়া ও বালু। ওই নির্মাণাধীন সড়ক নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা প্রকৌশলীর কাছে লিখিত অভিযোগ দেয় এলাকাবাসী। তবে, সেই অভিযোগে সড়কের কাজে কোনো পরিবর্তন আসেনি। নিম্নমানের মালামাল দিয়েই চলছে সড়কের কাজ।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তথ্যানুযায়ী, দিনাজপুর অঞ্চলের প্রকল্পের আওতায় এক হাজার ৯৫০ মিটার সড়ক পাকাকরণের কাজটি শুরু হয় ২০২৪ সালের ৭ আগস্ট। কাজটি শেষ হওয়ার কথা ২০২৫ সালের ৬ আগস্ট। ব্যয় ধরা হয়েছে এক কোটি ৯২ লাখ ২২ হাজার ৬৩৩ টাকা। টেন্ডারের মাধ্যমে কাজটি পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রাজশাহীর বরেন্দ্র কনস্ট্রাকশন লিমিটেড।

স্থানীয়রা বলছেন, রাজশাহীর বরেন্দ্র কনস্ট্রাকশন লিমিটেড সড়কটি নির্মাণ কাজ করছে না। প্রকল্পটি বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে রাণীশংকৈলের আবু সাঈদ নামের এক স্থানীয় ঠিকাদারের কাছে।

সরেজমিনে সোমবার দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, নির্মাণকাজে ব্যবহৃত ইটের বেশির ভাগই ভাঙা ও নিম্নমানের। খোয়ার আকার অসমান এবং বালু যথাযথ পরিশোধিত নয়। কাজের মান নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে বিরাজ করছে অসন্তোষ ও ক্ষোভ।

স্থানীয় বাসিন্দা জয়ন্ত রায় বলেন, ‘আমি নিজেই ইট ভাঙার মিস্ত্রি। এখানে তিন ধরণের নিম্নমানের ইট ব্যবহার করা হচ্ছে। এ রাস্তায় বেশি দিন টিকবে না।’ ইউপি সদস্য শাহাজাহান আলী বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনো লাভ হয়নি। ঠিকাদার নিজের মতো কাজ করে যাচ্ছেন।’

নির্মাণশ্রমিক বাবলু বলেন, ‘২৯ বছর ধরে কাজ করছি। এখানে যে ইট ব্যবহার হচ্ছে, তা ৩ নম্বর। ইটের মান খুবই খারাপ। কিন্তু আমাদের কিছু করার নেই। যেভাবে নির্দেশ দেয়, সেভাবেই কাজ করি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় ঠিকাদার আবু সাঈদ বলেন, ‘আমি তো কাজটা কিনেই করেছি। লাভ আর কত।’

উপজেলা প্রকৌশলী আনিসুর রহমান বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। ভাঙা রেজিং মেরামত করা হবে। আর সব ইট তো খারাপ নয়, ১০০টার মধ্যে ২–১টা খারাপ হতে পারে। কাজের মান ভালোই হচ্ছে। এদিককার মানুষ ইট চিনে না।’যুগান্তর

 

শুধু ঠাকুরগাঁওয় নয় বাংলাদেশের প্রায় সব জায়গাতে এমন কাজ নিম্নমানের কাজ হচ্ছে। দেখার কেউ নেই।