Image description
 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় তিতাস নদী থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার নিয়ে তিন থানায় রশি টানাটানি হয়েছে। যদিও পরবর্তীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা পুলিশ তিতাস নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।

 

 

সোমবার দুপুরে সদর উপজেলা তিতাস নদীর অংশ থেকে ভাসমান অবস্থায় ওই অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

 

জানা গেছে, তিতাস নদীর রেলওয়ে সেতু এলাকায় একটি মরদেহ ভাসছে- এমন খবর পেয়ে আখাউড়া থানা পুলিশ ও আখাউড়া রেলওয়ে জিআরপি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়; কিন্তু নদীর যে অংশে মরদেহ ভাসছিল ওই অংশটুকু ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার আওতাধীন। ফলে আখাউড়ার দুই থানার কেউই লাশ উদ্ধার করেনি।

 

আখাউড়া থানার ওসি মোহাম্মদ ছমিউদ্দিন যুগান্তরকে বলেন, তিতাস নদী এলাকায় যেখানে লাশ ভাসছিল তা সদর উপজেলার আওতাধীন, আখাউড়া এলাকার অন্তর্ভুক্ত নয়। তাই বিষয়টি সদর থানাকে অবহিত করা হয়েছে।

 

অপরদিকে আখাউড়া রেলওয়ে থানার ওসি এসএম সফিকুল ইসলাম যুগান্তরকে জানান, রেলওয়ে আইন অনুযায়ী রেললাইন থেকে ১০ ফিটের মধ্যে ঘটনাস্থল রেলওয়ে পুলিশের অধীনে। যেহেতু নদীতে লাশ ভাসছে এটা রেলওয়ে এলাকার মধ্যে পড়ে না।

 

অবশ্য খবর পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার এসআই জুয়েল সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে এসে দুপুরে ঘটনাস্থলে হাজির হন। পরে তারা মরদেহটি উদ্ধার করেন।

 

তিনি বলেন, এটি তিতাস নদীর অংশে সদর থানার মধ্যে হলেও আখাউড়া থানা পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার না করায় আমাদের করতে হয়েছে। তবে লাশের গায়ে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

 

লাশ উদ্ধারকারী পুলিশের ওই কর্মকর্তার ধারণা, আখাউড়ার খরমপুর কেল্লা বাবার মাজারে আগত কোনো ভক্ত-আশেকানের লাশ হতে পারে। মরদেহের পরিচয় ও মৃত্যুর কারণ উদঘাটনে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।