
মাথায় দুটি গুলি লাগা জুলাই বিপ্লবের অকুতোভয় সৈনিক রাইয়ান আহমদ এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। আহত হওয়ার ১০ মাস পরও উন্নত চিকিৎসার অভাবে চরম কষ্টে দিন কাটছে তার। শারীরিক উন্নতি না হওয়ায় পরিবারও তাকে নিয়ে উদ্বিগ্ন।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শুরু থেকেই সে সক্রিয় ছিল। ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে ছাত্র-জনতা বিজয় উৎসব করেন। সে খবর তখনো সিলেটের দক্ষিণ সুরমা এলাকায় পৌঁছেনি। রাইয়ান তার সহযোদ্ধাদের নিয়ে তখনো বিক্ষোভ করছিল চন্ডিপুলে। সেই সময় ওই এলাকায় পুলিশ বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় দুটি গুলি রাইয়ানের মাথায় লাগে। তৎক্ষণাৎ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সে। মাথায় দুটি গুলি লাগার ফলে তার মস্তিষ্কে মারাত্মক জখম হয়। অল্পের জন্য সে বেঁচে যায়। কিন্তু সেই বাঁচা-মরা এখন তার কাছে সমান হয়ে গেছে। চরম হতাশায় বর্তমানে ঢাকার সাভারের সিআরপিতে চিকিৎসা নিচ্ছে এই জুলাইযোদ্ধা। বহু চিকিৎসার পরও তার এক হাত ও কোমর থেকে দুই পা প্যারালাইজড অবস্থায় রয়েছে।
জুলাইযোদ্ধা রাইয়ানের বাবা নানু মিয়া বলেন, আমার ছেলের অবস্থার কোনো উন্নতি হচ্ছে না। আমি গরিব মানুষ, ছেলেকে উন্নত চিকিৎসা করানো আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আমি সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি আমার ছেলেকে বিদেশে পাঠিয়ে যেন উন্নত চিকিৎসা করে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
পরিবারে সর্বকনিষ্ঠ হওয়ায় সবচেয়ে আদরের সন্তান রাইয়ান। তার মা রুনা বেগমের আশা, তার সন্তান সুস্থ হয়ে আবারও কোলে ফিরে আসবে।
দক্ষিণ সুরমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উর্মি রায় আমার দেশকে বলেন, আমি এখনো খোঁজখবর রাখি। ওর বাবার সঙ্গে আমার কথা হয়। সহযোগিতার কোনো সুযোগ থাকলে অবশ্যই আমি করব।