দেশের প্রথম সারির দৈনিক হিসেবে পরিচিত প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের বিরুদ্ধে ইসলাম বিরোধীতার অভিযোগ তুলেছেন দেশের অনেকেই। এমনকি পত্রিকাটির বিরুদ্ধে সুকৌশলে ভারতীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নের অভিযোগও বেশ পুরোনো। এমনকি বিভিন্ন সময় ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সংগঠনগুলোর সংবাদ পরিবেশনে তার সুস্পষ্ট বিদ্বেষ দেখা যায়। যদিও তার কোনোটাই স্বীকার করে না পত্রিকাটি।
সম্প্রতি এক মাদ্রাসাছাত্রীকে পরিচয় গোপন করে ধর্ষণ ও পতিতালয়ে বিক্রির মতো খবরে পরিবেশনেও নিজেদের এমন এজেন্ডার ছাপ রেখেছে প্রথম আলো। গত ২২ জুন এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশ করে প্রথম আলো। সেখানে নোয়াখালীর দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে ধর্মীয় পরিচয় গোপন করে সম্পর্ক তৈরি, পরে ধর্ষণ ও পতিতালয়ে বিক্রির খবরে অভিযুক্ত তরুণের হিন্দু ধর্মীয় পরিচয় গোপন করে পত্রিকাটি। যদিও একই দিন প্রকাশিত অন্যান্য পত্রিকায় ওই তরুণের পরিচয় দেওয়া হয়।
এ ঘটনার পর গত ২৫ জুন অভিযুক্ত শুভজিৎ মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। সেখানে বলা হয়, ওই ছাত্রীর সঙ্গে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে পরিচয় হয় সাতক্ষীরার তরুণ শুভজিৎ মণ্ডলের। এরপর শুভজিৎ তার ধর্মীয় পরিচয় গোপন রেখে টেলিগ্রামে কথাবার্তা বলে কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরিচয়ের সূত্র ধরে গত ৭ মে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরীকে বাড়ি থেকে বের করে ঢাকা নিয়ে যান। পরবর্তীতে ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় নিয়ে যান। যাত্রাবাড়ীতে তারা একটি আবাসিক হোটেলে ওঠেন।
সেখানে শুভজিৎ তার গয়না ও টাকা কৌশলে হাতিয়ে নেন। একপর্যায়ে আবাসিক হোটেলে তাকে ধর্ষণ করে। পরে তাকে যৌনপল্লীর এক দালালের কাছে বিক্রি করে দেন।
র্যাব কর্তৃক আসামী গ্রেপ্তারের পরও সেই সংবাদ একেবারেই চেপে গেছে প্রথম আলো। যেখানে অন্যান্য পত্রিকাগুলো আগের সংবাদের ফলোআপ হিসেবে আসামী গ্রেপ্তারের সংবাদ প্রকাশ করে। তবে প্রথম আলো তারপরও অভিযুক্তের নাম ও পরিচয় প্রকাশ করে তথ্য হালনাগাদ করেনি।
