রাজধানীর পুরান ঢাকার তাঁতিবাজার মোড়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হকের গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। প্রতিবাদে তাঁতিবাজার মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এর আগে সোমবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে জবি প্রক্টর বাসায় ফেরার পথে তাঁতিবাবাজার সংলগ্ন এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। এতে প্রক্টরসহ তার ড্রাইভার আহত হয়েছেন। এ ছাড়াও তার গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসময় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তবে তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। বর্তমানে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিল্যাল কলেজ হাসপাতালে ও গাড়িচালক ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুরান ঢাকার তাঁতিবাজার পার হয়ে যাচ্ছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হকের গাড়ি। এসময় পার্শ্ববর্তী একটি অ্যাম্বুলেন্সের সাথে রিক্সার ধাক্কা লাগে। ধাক্কা লাগার সাথে সাথে অ্যাম্বুলেন্সের ওপর হামলা চালায় স্থানীয়রা। কিছুক্ষণের মধ্যে গুলিস্তান থেকে ৬০-৭০ জন লোক চলে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের গাড়িতে হামলা করে। এ সময় হামলাকারীরা কেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের লেগুনা সারাদিন আটকে রেখেছে, এই স্লোগান দিতে দিতে হামলা করে। এসময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও প্রক্টরকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে তারা।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের অভিযোগ, সকালে এক শিক্ষার্থীর উপর লেগুনা চালকরা হামলা করলে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ হিসেবে লেগুনা আটকে রাখে, এবং এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রক্টরের ওপর হামলা হতে পারে।
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, তাঁতিবাজার মোড়ে আমাদের সামনে একটি রিক্সাকে ধাক্কা দেয় অ্যাম্বুলেন্স। তখনই পাশ থেকে ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে স্থানীয়রা। ৫-৭ মিনিটের মধ্যে ওইখানে শতাধিক লোক ছুটে আসে। প্রথমে আমার গাড়ির ড্রাইভারকে গাড়ি থেকে বের করে মারধর করে। আমি গাড়ি থেকে বের হলে আমার ওপরও হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীরা বলতে থাকে, জগন্নাথের শিক্ষার্থীদের তো পেলাম না! শিক্ষকদের মেরে দিলাম।
রাজধানীর বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, প্রক্টরের গাড়িতে হামলাকারীদের থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাদের।