Image description

মাহফুজ আলম

 

সরকারের দায়িত্ব ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার ব্যাপারে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। 

সোমবার (৬ জানুয়ারি) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি স্ট্যাটাসের মাধ্যমে তিনি সরকারের বিভিন্ন অগ্রাধিকার বিষয়গুলো তুলে ধরেন। 

‘আমাদের এখনকার অগ্রাধিকার’ শিরোনামে লেখায় উপদেষ্টা মাহফুজ আলম কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সরকারের অগ্রাধিকারের কথা উল্লেখ করেছেন। এর মধ্যে জুলাই শহিদ-আহতদের তালিকা প্রণয়ন, চিকিৎসা প্রদান সরকারের পক্ষে তাদের অন্যতম অগ্রাধিকার।

এ ছাড়াও তিনি যেসব বিষয় অগ্রাধিকারের তালিকায় রেখেছেন, সেসব হলো—আহত ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের অর্থসহায়তা ও দীর্ঘমেয়াদি পুনর্বাসন, জুলাই গণহত্যার বিচার ও সে লক্ষ্যে  যথাযথ মামলা ও সুষ্ঠু তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা, গত ১৬ বছরের গুম খুন  ও অর্থনৈতিক লুটপাটের বিচার. লুট হওয়া অর্থ ফেরত আনা, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখা, জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে রাষ্ট্রের বিবিধ প্রতিষ্ঠানগুলোর বাস্তবসম্মত সংস্কার নিশ্চিত করা। 

তিনি আরও উল্লেখ করেন, শিক্ষা,জনস্বাস্থ্য, তথ্য প্রযুক্তি ও আবাসন সহ সকল জনগুরুত্বপূর্ণ খাত ঢেলে সাজানো; তরুণ প্রজন্মের জন্য চাকরি ও উদ্যোগের ক্ষেত্রে সুযোগের সমতা নিশ্চিত করা; রাষ্ট্রীয় প্রণোদনা বৃদ্ধি করা; কথিত উন্নয়ন অর্থনীতির বদলে জনগণ, প্রাণ, প্রকৃতি ও পরিবেশের অনুকূল অর্থনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ করা; সরকারের সকল কার্যক্রমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং জনগণের সেবা নিশ্চিত করা ইত্যাদি।

মাহফুজ আলম তার  একই স্ট্যাটাসে সরকারের কিছু ‘রাজনৈতিক অগ্রাধিকার’ উল্লেখ করেছেন। সেসব হলো—অভ্যুত্থানের শক্তিগুলোকে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপ ও নূতন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ করা, জাতীয় স্বার্থকে সকল ক্ষেত্রে সমুন্নত রাখা এবং বিগ কর্পোরেশন ও বিদেশি স্বার্থের বাইরে বাংলাদেশের জনগণ ও প্রাণ প্রকৃতি ও পরিবেশের প্রশ্নকে গুরুত্ব দেয়া, জাতীয় অগ্রাধিকার তথা জাতীয় নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ঐকমত্য ধরে রাখা এবং জনগণের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা  ও খুনিদের ফেরত আসার পথরুদ্ধ করা।

তিনি আরও উল্লেখ্য করেন, সংস্কারের পক্ষে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ রাখা এবং ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া তথা নির্বাচন ব্যবস্থা, সংস্কার সাপেক্ষে জনগণের রায়ের কাছে ছেড়ে দেয়া; সারা দেশের মানুষ বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে রাজনৈতিকভাবে (দায়িত্ব ও অধিকার বিষয়ে)  শিক্ষিত ও সচেতন করে তোলা ইত্যাদি।