
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ক্রয়ে অনিয়মের অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এজন্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তৎকালীন দায়িত্বে থাকা ছয় কর্মকর্তাকে তলব করেছে সংস্থাটি। তাদের আগামী বুধবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য প্রদান করতে বলা হয়েছে।
দুদকের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধান টিমের প্রধান রাকিবুল হায়াত সই করা এ সংক্রান্ত চিঠি থেকে বিষয়টি জানা গেছে।
ছয় কর্মকর্তা হলেন ইসি সচিবালয়ের উপপ্রধান সাইফুল হক চৌধুরী, সহকারী প্রধান মাহফুজুল হক, ইসির আইডিয়া প্রকল্পের আইটি সিস্টেম কনসালটেন্ট এএইচএম আব্দুর রহিম খান, উপসচিব (চলতি দায়িত্ব) ফরহাদ হোসেন, সিস্টেম অ্যানালিস্ট ফারজানা আখতার ও ওই সময়ের সিনিয়র মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন।
এতে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদাসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও সরকারি আর্থিক বিধিবিধান লঙ্ঘন করে সমীক্ষা ছাড়াই প্রকল্প গ্রহণ, টেন্ডার ব্যতীত বাজারমূল্যের চেয়ে ১০ গুণ বেশি দামে দেড় লাখ নিম্নমানের ইভিএম ক্রয় করে। এতে সরকারের প্রায় তিন হাজার ১৭২ কোটি টাকা ক্ষতির অভিযোগ ওঠে।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তড়িঘড়ি করে ওই মেশিনগুলো কিনেছিল ইসি। যদিও সেই ভোটে সীমিত পরিসরে মেশিনগুলো ব্যবহার হয়। অর্ধেকের বেশি মেশিন নষ্ট হওয়ায় সম্প্রতি প্রকল্পটি বাতিল করেছে ইসি।