Image description

দীর্ঘ ৫০ বছর পর প্রকাশ্যে এসেছেন বীর বিক্রম মেজর শরিফুল হক ডালিম। রোববার রাতে প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনের লাইভ টকশোতে হাজির হন তিনি। লাইভে ৫০ বছরের অনেক প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে সোমবার এক সাংবাদিক স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে মেজর ডালিমের লাইভ সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি উত্তর দেননি। সকালে ঢাকার আগারগাঁওয়ের পাসপোর্ট অধিদফতর পরিদর্শন শেষে এ প্রশ্নের মুখোমুখি হন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। 

ওই সাংবাদিক মেজর ডালিমকে ‘বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি’ বলে সম্বোধন করে তার ‘জীবিত’ থাকার ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছিলেন। তবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এ ব্যাপারে কিছু বলতে রাজি হননি।

মেজর ডালিমের উপস্থিতি এখন সামাজিক মাধ্যমে বেশ আলোচিত বিষয়। তবে তার এ উপস্থিতি নিয়ে কেউ কেউ সংশয়ও প্রকাশ করেছেন। 

ইলিয়াসের সঙ্গে টকশোর শুরুতে মেজর ডালিম বলেন, দেশবাসীকে বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের ছাত্র-জনতাকে, যারা আংশিক বিজয় অর্জন করেছেন, তাদের লাল শুভেচ্ছা জানাই। বিপ্লব একটি সমাজ যেকোনো রাষ্ট্রে একটি চলমান প্রক্রিয়া। সেই অর্থে তাদের বিজয় এখনও পুরোপুরি অর্জিত হয়নি। তার জন্য আরও সময় প্রয়োজন।

২৪’এর গণঅভ্যুত্থানের নেপথ্যের নায়ক ছাত্র-জনতাকে পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, সম্প্রসারণবাদী-হিন্দুত্ববাদী ভারত যার কবজায় আমরা প্রায় চলে গিয়েছি। সেই অবস্থান থেকে সেই ৭১’এর মতো আরেকটা স্বাধীনতা অর্জন করতে হবে। তা না হলে বিপ্লব ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে। 

জাতীয় সঙ্গীত ইস্যুতে মেজর বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের না হয়ে কাজী নজরুল ইসলাম বা অন্যান্য স্বনামধন্য দেশীয় কবিদের গান হতে পারত। ভিনদেশী একজন কবির গানকে জাতীয় সঙ্গীত বানানোকে পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ইলিয়াস হোসেনের এই লাইভ টকশো সাম্প্রতিক সময়ে বাংলা ভাষার কন্টেন্ট-এর মধ্যে বলা যায় রেকর্ড গড়েছে। কেননা ১৬ ঘণ্টায় ২ ঘণ্টার অধিক এই ভিডিওটি দেখেছে সোয়া কোটির বেশি মানুষ।

শরিফুল হক ডালিম যিনি মেজর ডালিম নামে অধিক পরিচিত, হলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন প্রাক্তন সামরিক কর্মকর্তা। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন। শেখ মুজিব নিহত হওয়ার পর মেজর ডালিম (পরবর্তীতে লেফটেন্যান্ট কর্নেল) সেটি বাংলাদেশ বেতারে ঘোষণা দেন। ’৭৫ পরবর্তী গণপ্রজাতন্ত্রী সরকার তাকে বিদেশে বিভিন্ন বাংলাদেশি দূতাবাসে বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেয়।